

সেরা জীবনমানের সেরা ১১ দেশ

এ বছর 'বেটার লাইফ ইনডেক্স' প্রকাশ করেছে দ্য অর্গানাইজেশন ফর ইকোনমিক কর্পোরেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (ওইসিডি)। এ তালিকায় বিশ্বের সেইসব দেশের কথা বলা হয়েছে যেখানে মানুষের জীবনমান অন্যদের তুলনায় অনেক ভালো। প্রথম এগারোর তালিকায় শেষে রয়েছে নেদারল্যান্ডসের কথা। দেশটিতে শিক্ষার হার সবচেয়ে বেশি। এ দেশের শিক্ষার্থীরা গণিত এবং বিজ্ঞানে অনেক ভালো। তা ছাড়া অন্যান্য বিষয়েও তাদের জ্ঞান অনেক বেশি।

দশ নম্বরে রয়েছে আইসল্যান্ডের নাম। গত বছলের ইনডেক্স থেকে ৮ ধাপ পিছিয়েছে দেশটি। দেশটির কর্মক্ষম মানুষের ০.৭ শতাংশ এক বছরের বেশি সময় ধরে বেকার ছিল।

এর পরই রয়েছে আমেরিকার নাম। গত বছরের ইনডেক্স থেকে পিছিয়েছে ৪ ধাপ। তবে হাউজিং, ইনকাম এবং মানুষের সম্পদ বৃদ্ধির দিক দিয়ে সবার আগে রয়েছে। হাউজহোল্ড ডিসপোজেবল ইনকাম বছর প্রতি ৪১ হাজার ৭১ ডলারে উপনীত হয়েছে।

ফিনল্যান্ড ৮ নম্বরে। এ দেশের ৪ শতাংশ কর্মী দীর্ঘ সময় ধরে কাজ করেন। এ সংখ্যা ওইসিডি'র গড় ১৩ শতাংশ থেকে অনেক কম।

সাত নম্বরে আছে নিউ জিল্যান্ড। এ বছর তালিকায় এগিয়েছে দুই ধাপ। দেশটি পরিবেশের ওপর দারুণ গুরুত্ব দেয়। গ্রিনহাউজ ইফেক্ট এ দেশে অনেক কম। জনসংখ্যা কম হওয়ার কারণে এমনটা হয়েছে।

ছয় নম্বরে আছে সুইডেন। সমাজে প্রত্যেক মানুষের কার্যক্রম অনেক ভালো। সাম্প্রতিক নির্বাচনে ৮৩ শতাংশ মানুষ ভোট প্রদান করেছে।

হাউজিং খাতে সবচেয়ে ভালো সেবা মেলে কানাডায়। দেশটি রয়েছে ৫ নম্বরে। ২০০০ এর দিকে টরোন্টো এবং ভ্যানকুভার সরকার সব পরিবারের জন্য বাসস্থানের ব্যবস্থা করে। এতে করে বাড়ির মালিকরা বাড়তি সুবিধা পায়।

চতুর্থতে রয়েছে সুইজারল্যান্ড। এ দেশে বেকারত্ব ৩.১ শতাংশের আশপাশে ঘোরাফেরা করে। এ হিসাব বিশ্বের সর্বনিম্নের মধ্যে একটি।

তালিকার তৃতীয়তে আছে ডেনমার্ক। গত বছরের ইনডেক্স থেকে এক লাফে ৭ ঘর পেরিয়েছে দেশটি। ছুটির সময় কর্মীদের পারিশ্রমীক দেওয়ার ক্ষেত্রে সবার আগে রয়েছে দেশটি। প্রতিবছর ৫ সপ্তাহের ছুটিতেও অর্থ পান কর্মীরা। ফুল-টাইম চাকরিজীবীরাও বছরের ৬৬ শতাংশ দিন নিজের খেয়াল রাখার পেছনে সময় ব্যয় করেন।

দ্বিতীয়তে অস্ট্রেলিয়া চলে এসেছে। ২০১৩ ও ২০১৪ সালে দেশটি প্রথম স্থানে ছিল। সমাজ নিয়ে গভীর ভাবনায় জড়ির অস্ট্রেলিয়ানরা। তাদের ৯৫ শতাংশ মনে করেন, সমাজে এমন কেউ না কেউ আছেন যার ওপর তারা নির্ভর করতে পারেন।

প্রথম স্থানে রয়েছে নরওয়ে। গত বছরও এক নম্বরে ছিল। এখানকার মানুষ পৃথিবীর সেরা মানের জীবনযাপন করেন। অধিকাংশের চাকরি আছে। আরো আছে শিক্ষা এবং তাদের গড় আয়ু ৮২ বছর। সূত্র : বিজনেস ইনসাইডার