

বিশ্বের যত বিলাসী ও অভিজাত রেল ভ্রমণ

জাপানের উত্তর-পূর্ব ২০১৭ সাল থেকে চালু হবে ট্রেইন স্যুইট শিকি-শিমা। ১০টি ক্যারিজ ট্রেন নিয়ে এটি ৩৪ জন যাত্রী বহন করবে। থাকছে ডাইনিং রেস্টুরেন্ট, ব্যক্তিগত টয়লেটসহ দ্বিতল স্যুইট।

জাপানের আরে বিলাসী রেল ভ্রমণের অভিজ্ঞতা দেবে টোয়াইলাইট এক্সপ্রেস মিজুকাজি। শুরু হবে ২০১৭ সাল থেকে। সিগনেচার স্যুইটসহ আয়েশি বাথরুম ও অন্যান্য সুবিধা থাকছে।

জাপানের সবচেয়ে অভিজাত ও বিলাসবহুল সেবা দেয় কাইয়ুশু সেভেন স্টারস। দেশের সবচেয়ে সুন্দর অঞ্চল দিয়ে যাত্রা করে এটি। সুগন্ধী হিনোকি সাইপ্রাস কাঠের কেবিন এর অনন্য বৈশিষ্ট্য।

কাইয়ুশু সেবায় ১২টি রুম রয়েছে যাতে দুটো করে বিলাসী স্যুইট আছে।

লন্ডন থেকে প্যারিস, প্রাগ, ভিয়েনা এবং বুদাপেস্টে যায় বেলমন্ড ভেনিস সিম্পসন-অরিয়েন্ট এক্সপ্রেস। এটা ১৯২০ থেতে চালু হওয়া ট্রেনটি তার আভিজাত্য এখনো ধরে রেখেছে।

এই সার্ভিসের রেস্টুরেন্ট কারে আছে শেফের বিশেষ রেসিপি। লগদা চিংড়ি আসে ব্রিটানি থেকে। এ ছাড়া লবণাক্ত ভেড়ার মাংস আসে মন্ট সেন্ট মিচেল-এর রুট থেকে।

বেলমন্ডের পরিচালনায় আরেকটি বিলাসী রেল দ্য রয়াল স্কটসম্যান ক্লাসিক হুইস্কি ট্যুর। ৩৬ জন যাত্রী নিয়ে স্কটল্যান্ডের হাইল্যান্ড ও লোল্যান্ড ভ্রমণ করে এটি।

দক্ষিণ আফ্রিকার রোভোস রেইল একই তালিকায় রয়েছে। ৮টি ভিন্ন রুটে চলাচল করে। ভিক্টোরিয়া ফলসসহ বেশ কয়েকটি স্থানে যায় ট্রেনটি।

এই রেলে ভিক্টোরিয়ান আদলে খাবারের ব্যবস্থা আছে। কাঠের স্যুইটে আরামদায়ক পরিবেশ। কমন রুমে স্মার্টফোন ও ল্যাপটপ ব্যবহারের সুবিধা রয়েছে।

ডারউইন থেকে অ্যাডেলেইডে যাত্রা করে দ্য ঘান। অ্যালিস স্প্রিংস-এ থামে এটি। সেখানে হেলিকপ্টারে ভ্রমণের ব্যবস্থা রয়েছে। তাসমানিয়ান মার্টেলে তৈরি ঝকঝকে কেবিনগুলো দৃষ্টিনন্দন।

রকি মাউন্টেইনার রেল যাত্রা ২-২৫ দিন পর্যন্ত পরিচালিত হয়। কানাডিয়ান পাহাড়ি এলাকা দিয়ে এর যাত্রা দারুণ অভিজ্ঞতা দেয়।

দ্য গোল্ডেন ঈগল রাশিয়ার বিলাসবহুল ট্রেনের নিদর্শন। মঙ্গোলিয়া, কাজাখস্তান, উজবেকিস্তান এবং অন্যান্য অঞ্চল দিয়ে ভ্রমণ করে। পশ্চিমা পর্যটকদের কাছে তেমন পরিচিত নয়।

সম্প্রতি দ্য গোল্ডেন ঈগল চালু করেছে জুয়েলস অব পার্সিয়া নামের আরেকটি সার্ভিস। এর মাধ্যমে ইরানের বেশ কিছু অপূর্ব নিদর্শন উপভোগ করতে পারবেন যাত্রীরা।

নাটশেল ট্যুরসের মাধ্যমে নরওয়ে বিলাসী রেলের ব্যবস্থা করেছে। অসলো থেকে বার্গেনকে যুক্ত করেছে। এর রুট অপূর্ব সুন্দর প্রাকৃতিক পরিবেশ দেখাবে।

ব্লু ট্রেন প্রিটোরিয়া থেকে কেপ টাউনের মধ্যে ৯৯৪ মাইল ভ্রমণ করে। এই বিলাসী ভ্রমণে ডিনার অন্যতম আকর্ষণ। কেতাদুরস্ত পোশাকে ভ্রমণবিলাসীরা অস্ট্রিচ, কিসনা এবং কেপের কৃষকদের উৎপাদিক খাদ্য উপভোগ করেন।

এ বছরের শরতে চালু হয় বেলমন্ড গ্রান্ড হাইবারনিয়ান ট্রেন জার্নিস। আয়ারল্যান্ডের এ ভ্রমণে যাত্রীরা দেশটির ঐতিহ্যবাহী স্থানগুলো দেখতে পারেন। তারা ব্লার্নি ক্যাসল এবং ক্লিপস অব মোহারের মতো প্রাকৃতিন নিদর্শন উপভোগ করেন। সূত্র : টেলিগ্রাফ