

আমেরিকার বৃহত্তম ইলেকট্রনিক ড্যান্স পার্টির ইন্দ্রজাল

নিউ ইয়র্কের সিটি ফিল্ডের ইলেকট্রিক ডেইজি কার্নিভাল যেন ইন্দ্রজাল ছড়িয়েছে। এখানে ৭৯ হাজার মানুষ মন্ত্রমুগ্ধের মতো ছুটে এসেছেন ১১৯ ডলারের টিকেট কেটে। দিনের সময়টাতে এখানে আনন্দ আর প্রদর্শনীর মহাযজ্ঞ চলে।

এখানে মুখে ও দেহে নানা বিচিত্র আঁকিবুকি সবচেয়ে জনপ্রিয়। রংয়ের মাঝেই যেন ডুবে থাকতে পছন্দ করেন সবাই।

বিগত কয়েক বছরের মধ্যে এখানে ইলেকট্রনিক ড্যান্স মিউজিক মূল আকর্ষণ। এখানকার গানবাজনা এমনভাবে চলে যেন সবাই সবার বন্ধু। এরা শুধু মজাই করবেন।

মিউজিক বদলে যেতে থাকে। নিউ ইয়র্ক শহরটাই যেন বদলে যেতে থাকে। এটা ধীর লয় থেকে আবার পাগলাটে হয়ে ওঠে।

গ্রুভ যেন মজ্জায় ঢুকে যায়। ট্র্যাকগুলো দীর্ঘায়িত হতে থাকে। মানুষ শ্বাস-প্রশ্বাসে সঙ্গীত নিতে থাকেন।

একটি দানবাকৃতি ফেরিস হুইল রঙিন হয়ে ওঠে।

টিন্ডারের মধ্যেও রাইডের ব্যবস্থা রাখা হয়। এটাকে প্রেমিক-প্রেমিকাদের জন্যে সাজানো হয়।

এটা যখন ঘুরতে থাকে তখন তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকাও যেন জাদুর রাজ্যে চলে আসার মতো।

দারুণ আবহাওয়া বিরাজ করে। গ্রীষ্মের পার্টি জমে ওঠে বেশ। সবাই উৎফুল্ল হয়ে ওঠেন।

জাগেরমেইস্টারের মতো মাথায় গাছের পাতাহীন ডালপালা নিয়েও বিচিত্র সাজে ঘোরেন অনেকে।

ইনি একজন মডেল যিনি ভার্সেসের হয়ে কাজ করেন। এমন অসংখ্য মডেলের আনাগোনা ঘটে এখানে।

মূল মঞ্চ থেকে গোটা অঞ্চলকে নাইট ক্লাব বানিয়ে ফেলা হয়। সবাইকে মাতিয়ে রাখতে মঞ্চে থাকেন আফ্রোজ্যাক। প্রতিরাতে তার আয় দেড় লাখ ডলার! যারা প্রতিরাতে কোনো না কোনো ক্লাবে যান, তারা সবাই এখানে চলে আসেন।

প্রতি বছরই এই আয়োজন বৃদ্ধি পেতে থাকে। অর্থাৎ, প্রতিবারই আরো মজার হয়ে ওঠে।

কারস্টেনের মতো ডিজেরা আসেন। তারা আয়োজনকে ক্রমেই উত্তেজনার চূড়ায় নিয়ে যান। সবাই এখানে ছুটে আসে বহু দূর থেকে। সূত্র : বিজনেস ইনসাইডার