<p style="text-align:justify">সিনেট ও প্রতিনিধি পরিষদে ডেমোক্র্যাট ও রিপাবলিকান দলের হয়ে আবারও লড়ছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ছয় প্রার্থী। এদের মধ্যে রেকর্ড সৃষ্টি করে জিতেছেন ৫ প্রার্থী। নির্বাচনে বিজয়ী ওই ৫ প্রার্থীর মধ্যে একজন জিতেছেন রিপাবলিকান পার্টির টিকিতে। অন্যদিকে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হারলেও ডেমোক্র্যাটিক পার্টির টিকিটে জয় পেয়েছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ৪ প্রার্থী।</p> <p style="text-align:justify">মার্কিন নির্বাচনে গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গরাজ্য জর্জিয়ার ডিস্ট্রিক্ট-৫ থেকে চতুর্থবারের মতো সিনেটর হয়েছেন কিশোরগঞ্জের সন্তান শেখ রহমান। রিপাবলিকান দলের প্রার্থী লিসা বাডেজের চেয়ে দ্বিগুণ ভোট পেয়েছেন তিনি। একই অঙ্গরাজ্যে প্রথম মুসলিম নারী হিসেবে সিনেটর হয়েছেন নোয়াখালীর সন্তান নাবিলা ইসলাম। তিনি ৪৬ হাজার ২৩১ ভোট পেয়েছেন। পরাজিত রিপাবলিকান গ্রেগরি হাওয়ার্ড পেয়েছেন ৩৭ হাজার ৮৬৭ ভোট। </p> <p style="text-align:justify">কানেক্টিকাট ডিস্ট্রিক্ট-৪ থেকে রেকর্ড গড়েছেন চাঁদপুরের সন্তান মাসুদুর রহমান। ৩৩ হাজারের বেশি ভোট পেয়ে গত ৫০ বছরের ইতিহাসে সর্বোচ্চ ভোট পাওয়ার রেকর্ড গড়েছেন তিনি। পরাজিত রিপাবলিকান স্টিভেন কিং পেয়েছেন ১৮ হাজার ভোট। এ অঙ্গরাজ্যের ৩৬ জন সিনেটরের মধ্যে তিনি প্রথম বাংলাদেশি আমেরিকান।</p> <p style="text-align:justify">আরেক গুরুত্বপূর্ণ রাজ্য নিউজার্সিতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী হয়েছেন নুরুন নবী। জয় পেয়ে তিনি বলেন, ‘গত চারবার রিপাবলিকান প্রার্থী তার কাছে পরাজিত হয়েছেন। তাই এবার আর কোনো প্রার্থী দেয়নি। ফলে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছি। তিন বছরের জন্য আমি মানবিক সম্পর্ক, মানুষের বিনোদন ও আদালত–সম্পর্কিত বিষয়ের দায়িত্ব পালন করবো।’ এই চারজনই ডেমোক্র্যাটিক পার্টির টিকিটে জয় ছিনিয়ে নিয়েছেন।</p> <p style="text-align:justify">অপর দিকে নিউ হ্যাম্পশায়ার স্টেট হাউস অব রিপ্রেজেনটেটিভ পদে ষষ্ঠবারের মতো রিপাবলিকান দলের টিকিটে প্রতিনিধি নির্বাচিত হয়েছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত আবুল বি খান।<br />  </p>
