<p>ফিলিস্তিনি রেড ক্রিসেন্ট বৃহস্পতিবার জানিয়েছে, মধ্য গাজা উপত্যকায় একটি স্কুলে ইসরায়েলি বিমান হামলায় অন্তত ২৮ জন নিহত ও ৫০ জনের বেশি মানুষ হয়েছে। স্কুলটি বাস্তুচ্যুত পরিবারদের জন্য আশ্রয়স্থল হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছিল।</p> <p>এদিন দেইর আল-বালাহ শহরে রেড ক্রিসেন্টের সদর দপ্তরের কাছে অবস্থিত রুফাইদা আল-আসলামিয়া স্কুলে এই হামলা হয়। হামলাস্থলের ভিডিওতে ধোঁয়া ও ধুলার মধ্যে লোকজনকে আহতদের সাহায্য করতে দৌড়াতে এবং কয়েকজন শিশুকে স্থানীয় আল-আকসা হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে দেখা যায়।</p> <p>অন্যদিকে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, তাদের চালানো ‘নির্ভুল’ এই হামলা হামাস যোদ্ধাদের লক্ষ্য করে পরিচালিত হয়েছিল, যারা স্কুলের ভেতরে একটি ‘কমান্ড অ্যান্ড কন্ট্রোল সেন্টার’ থেকে কাজ করছিল। </p> <p>তারা আরো বলেছে, বেসামরিক ক্ষতি এড়ানোর জন্য তারা পদক্ষেপ নিয়েছিল এবং হামাসকে অভিযোগ করেছে। একই সঙ্গে তারা হামাসের বিরুদ্ধে পরিকল্পিতভাবে বেসামরিক স্থাপনার অপব্যবহারের করেছে। তবে ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠীটি আগে থেকেই এ অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।</p> <p>গাজা পরিচালিত হামাসের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ও ২৮ জন নিহত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে এবং ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে ‘নতুন হত্যাকাণ্ড’ করার অভিযোগ তুলেছে।</p> <p>গাজা উপত্যকাজুড়ে যুদ্ধ শুরুর পর থেকে ১৯ লাখ মানুষ তাদের বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়েছে এবং অনেক স্কুল আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের নজিরবিহীন হামলার প্রতিক্রিয়ায় গাজায় হামাসকে ধ্বংসের জন্য এই অভিযান শুরু করে। হামাসের সেই হামলায় প্রায় এক হাজার ২০০ মানুষ নিহত এবং ২৫১ জন জিম্মি হয়েছিল। অন্যদিকে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মতে, গাজায় এ যুদ্ধে এখন পর্যন্ত ৪২ হাজারেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে।</p> <p>সূত্র : বিবিসি</p>