<p>হাইতির একটি ছোট শহরে সশস্ত্র চক্রের হামলায় শিশুসহ অন্তত ২০ জন নিহত হয়েছে। রাজধানী পোর্ট-অ-প্রিন্সের উত্তর-পশ্চিমে প্রায় ৭১ কিলোমিটার (৪৪ মাইল) কেন্দ্রীয় আর্টিবোনাইট অঞ্চলের পন্ট-সোন্ডেতে গ্রান গ্রিফ গ্যাং সদস্যরা তাণ্ডব চালালে আরো ৫০ জন আহত হয়।</p> <p>একটি ভিডিও ফুটেজে দেখা যাচ্ছে, লোকজন মোটরবাইক ও হেঁটে সহিংসতার স্থান থেকে পালিয়ে যাচ্ছে। অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, একজন সরকারি কৌঁসুলি হামলাটিকে ‘একটি গণহত্যা’ বলে বর্ণনা করেছেন।</p> <p>হামলায় নিহতের সঠিক সংখ্যা স্পষ্ট নয়। স্থানীয় মিডিয়া জানিয়েছে, ৫০ জনের বেশি নিহত হয়েছে। তবে হাইতিয়ান মানবাধিকারগোষ্ঠী এই সংখ্যা ২০ বা তার বেশি হতে পারে বলে জানিয়েছে। </p> <p>গ্র্যান গ্রিফকে হাইতির গ্যাংগুলোর মধ্যে সবচেয়ে হিংস্র বলে মনে করা হয়। ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে এর সদস্যদের বিরুদ্ধে পুলিশ স্টেশনে হামলা এবং ছয়জন কর্মকর্তাকে হত্যা করার অভিযোগ আনা হয়েছিল। এ ছাড়া তাদের  সাত লাখের বেশি মানুষকে পরিষেবা দেওয়া একটি হাসপাতাল বন্ধ করতে বাধ্য করার জন্যও দায়ী করা হয়।</p> <p>এপি কর্তৃক উদ্ধৃত জাতিসংঘের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই গ্যাংটির প্রায় ১০০ সদস্য রয়েছে। হত্যা, ধর্ষণ, ডাকাতি এবং অপহরণসহ অপরাধের অভিযোগ রয়েছে। এর প্রতিষ্ঠাতা এবং বর্তমান নেতা উভয়ই মার্কিন নিষেধাজ্ঞার অধীন। হাইতিয়ান কর্তৃপক্ষ সারা দেশে জরুরি অবস্থা সম্প্রসারিত করার এক মাস পরে বৃহস্পতিবারের এই গ্যাং তাণ্ডব চালানো হয়। প্রধানমন্ত্রী গ্যারি কনিল গ্যাংদের বিরুদ্ধে দমন করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।</p> <p>সূত্র : বিবিসি</p>