<p>ভারতের কলকাতার আলোচিত আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে একজন নারী চিকিৎসককে খুন ও ধর্ষণের ঘটনায় মামলা নিতে দেরি করায় স্থানীয় টালা থানার ওসি অভিজিৎ মণ্ডলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।</p> <p>একইসঙ্গে  মেডিক্যাল কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে গ্রেপ্তার দেখিয়েছে ভারতের কেন্দ্রীয় তদন্ত ব্যুরো (সিবিআই)। খবর আনন্দবাজার পত্রিকার।</p> <p>হাসপাতালটির দুর্নীতি সংক্রান্ত মামলায় এর আগেই তাকে গ্রেপ্তার করেছিল তদন্ত সংস্থাটি। শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) ধর্ষণ ও খুনের মামলায়ও গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে কারাগারে থাকা অধ্যক্ষকে।</p> <p>সন্দীপের পাশাপাশি গ্রেপ্তার হয়েছেন স্থানীয় টালা থানার ওসি অভিজিৎ মণ্ডলও। তার বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও খুনের মামলা নিতে দেরি করা ও তথ্যপ্রমাণ লোপাটের অভিযোগ আছে।</p> <p>এর আগে ওই শিক্ষানিবশ নারী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় গ্রেপ্তার হয়েছিলেন এক সিভিক ভলান্টিয়ার। গ্রেপ্তারের পর থেকে ওই ব্যক্তি সিবিআইয়ের হেফাজতেই আছেন বলে খবর ভারতীয় গণমাধ্যমের।</p> <p>সব নিয়ে এ মামলায় এখন পর্যন্ত মোট তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হলেন। আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ সন্দীপের গ্রেপ্তারের খবর জানার সঙ্গে সঙ্গেই নগরীর সল্টলেকের স্বাস্থ্য ভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে টানা ধর্মঘট করতে থাকা জুনিয়র চিকিৎসকরা উচ্ছ্বসিত হয়ে ওঠেন।</p> <p>ভারতের আইন প্রয়োগকারী ও আর্থিক গোয়েন্দা সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) আরজি করের আর্থিক দুর্নীতি মামলার তদন্তের অংশ হিসেবে শুক্রবার সন্দীপের পৈতৃক বাড়ি ও তার ঘনিষ্ঠ ওষুধ ব্যবসায়ীদের দপ্তর ও বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছিল।</p> <p>গণমাধ্যমের খবরে বলা হয় দুর্নীতি মামলায় আগে থেকেই গ্রেপ্তার সন্দীপ আদালতের নির্দেশ বর্তমানে প্রেসিডেন্সি কারাগারে আছেন। তার বিরুদ্ধেও তথ্যপ্রমাণ লোপাট করার অভিযোগ আছে। ২৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সন্দীপকে কারা হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।</p> <p>হাসপাতালটিতে শিক্ষানবীশি এক তরুণী নারী চিকিসৎকে ধর্ষণ ও নির্মমভাবে খুনের মামলার তদন্ত শুরু হওয়ার পর ১৬ অগাস্ট থেকে টানা ১৫ দিন সন্দ্বীপকে জিজ্ঞাসাবাদ করে সিবিআই, এরপর দুর্নীতির অভিযোগে তাকে গ্রেপ্তার দেখায়।</p> <p>ওই নারী চিকিৎসকের খুনের ঘটনা প্রকাশ্যে আসার কয়েকদিনের মধ্যেই আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের অধ্যক্ষের পদ থেকে পদত্যাগ করেছিলেন সন্দ্বীপ।</p> <p>আরজি করের ওই ঘটনার ৩৫ দিন পার হওয়ার পর সাবেক অধ্যক্ষ সন্দীপকে গ্রেপ্তারের ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় মেডিক্যাল কলেজটির শিক্ষার্থী ও ধর্মঘটী জুনিয়র চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, এর মাধ্যমে কর্তৃপক্ষ বিচারের দিকে ‘এক পা’ এগিয়েছে বলে মনে করছেন তারা। কিন্তু সন্দীপকে গ্রেপ্তার করতে ‘৩৫ দিন কেন লাগল’ তা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তারা।</p>