<p>নিউজিল্যান্ডের মাওরি জনজাতির প্রধানদের কাউন্সিল না ওয়াই ই তে জো পাকি-কে তাদের রানি হিসাবে বেছে নিলো। না ওয়াই হলেন সদ্যপ্রয়াত মাওরি রাজা তুহেইশিয়ার ২৭ বছর বয়সি ছোট মেয়ে। গত শুক্রবার হৃদযন্ত্রের অস্ত্রোপচারের পর রাজার মৃত্যু হয়। আজ বৃহস্পতিবার না ওয়াই সিংহাসনে বসেন।</p> <p>রাজার শেষকৃত্যের দিন তার সবচেয়ে ছোট ও একমাত্র মেয়েকে রানি হিসেবে বেছে নেন প্রধানরা। স্থানীয় মিডিয়া জানিয়েছে, আগে প্রয়াত রাজার বড় ছেলেকে প্রথমে রাজা করার কথা ভাবা হয়েছিল। কিন্তু গত কয়েক বছরে না ওয়াইয়ের নাম পরবর্তী রানি হিসেবে প্রাধান্য পায়।</p> <p>মাওরি কাউন্সিলের সাংস্কৃতিক পরামর্শদাতা কারাতিয়ানা তাইয়ুরু বার্তাসংস্থা এএফপি-কে জানিয়েছেন, ‘সাধারণ মাওরি ঐতিহ্য অনুসারে রাজার বড় ছেলেই সিংহাসনে বসার ক্ষেত্রে প্রাধান্য পায়। এক্ষেত্রে সেই ঐতিহ্য থেকে সরে এসেছেন মাওরিরা।’</p> <p>তিনি বলেছেন, ‘একজন তরুণী মাওরি নারী রানি হচ্ছেন এটা দেখাও সৌভাগ্যের বিষয়। না ওয়াই হলেন মাওরিদের দ্বিতীয় রানি। তার ঠাকুমা ছিলেন প্রথম রানি। ২০০৬ সালে তিনি মারা যান।’ তবে মাওরিদের রাজা বা রানির হাতে কোনো আইনি ক্ষমতা নেই, এটা মূলত আলংকারিক পদ। তবে মাওরিদের মধ্যে রাজা ও রানির একটা প্রভাব আছে।</p> <p><strong>উৎসবে কী হলো?</strong></p> <p>ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠীর প্রধানরা একবার রানি হিসেবে তাকে বেছে নেয়ার পর না ওয়াইকে নিয়ে আসেন চিরাচিরত পোশাক ও অস্ত্র হাতে মাওরি যুবকরা। তিনি কাঠের সিংহাসনে এসে বসেন। হাততালি ও আনন্দধ্বনির ঝড় বয়ে যায়।</p> <p>রানির মাথায় ছিল পাতার মুকুট, এবং গলায় ছিল তিমির হাড়ের নেকলেস। তিনি বাবার কফিনের পাশেও গিয়ে বসেন। প্রয়াত রাজার দেহ ছয়দিন রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় রাখার পর পবিত্র পাহাড়ে ঢালে সমাহিত করা হয়েছে।</p> <p><iframe frameborder="0" height="380" sandbox="allow-scripts allow-same-origin" scrolling="no" src="https://twitframe.com/show?url=https://twitter.com/AFP/status/1831498809626784201" width="380"></iframe></p> <p><strong>মাওরিদের সামনে চ্যালেঞ্জ</strong></p> <p>মাওরিদের মধ্যে এখন বয়স্ক নেতার সংখ্যা বেশি। তাইয়ুরু বলেছেন, ‘কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার যুগে, উষ্ণায়নের যুগে, সামাজিক পরিবর্তনের সময়ে নিউজিল্যান্ডের জনজাতিরা সংকটে পড়েছে, সেই সময় এক কম বয়সী নেত্রী দরকার ছিল।’</p> <p>নিউজিল্যান্ডের জনসংখ্যার মধ্যে ১৭ শতাংশ হলেন মাওরি। সমীক্ষা অনুসারে, তাদের মধ্যে দারিদ্র ও বেকারি অন্যদের তুলনায় বেশি। অন্যদের তুলনায় মাওরিরা সাত বছর কম বাঁচেন। তাদের ক্যানসার, হৃদরোগ, ডায়াবেটিস, আত্মহত্যার প্রবণতা অন্যদের তুলনায় বেশি।</p>