<p style="text-align:justify">শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রনিল বিক্রমাসিংহকে ৩০টিরও বেশি রাজনৈতিক দলের মহাজোট সমর্থন দিয়েছে। শুক্রবার এ ঘোষণা দেয় মহাজোট। দ্য হিন্দু এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।</p> <p style="text-align:justify">৭৫ বছর বয়সী বিক্রমাসিংহে বৃহস্পতিবার আগামী মাসের ২১ তারিখের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন জমা দেন। তার পরই এমন ঘোষণা দেয় মহাজোট।</p> <p style="text-align:justify">প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শ্রীলঙ্কার ঐতিহ্যবাহী দল ইউনাইটেড ন্যাশনাল পার্টির (ইউএনপি) নেতা রনিল বিক্রমাসিংহে দলের করুণ পরিস্থিতির সময়েও রাজাপক্ষে পরিবারের শ্রীলঙ্কা পোদুজনা পেরামুনার (এসএলপিপি) বিচ্ছিন্ন নেতাদের সমর্থন পাচ্ছেন।</p> <p style="text-align:justify">২০২২ সালে শ্রীলঙ্কার তৎকালীন প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষে দেশের অভূতপূর্ব অর্থনৈতিক সংকট মোকাবেলায় অক্ষমতার কারণে গণ-অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হন। পরে রনিল বিক্রমাসিংহে প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পান।</p> <p style="text-align:justify">এসএলপিপি প্রেসিডেন্ট হওয়ার জন্য বিক্রমাসিংহেকে সমর্থন দিলেও দেউলিয়া অর্থনীতিকে পুনরুজ্জীবিত করার জন্য বর্তমান প্রেসিডেন্টের কঠোর সংস্কারের অনুমোদন দেয়নি। পরিবর্তে এসএলপিপি রাজবংশের উত্তরাধিকারী নামাল রাজাপক্ষেকে (৩৮) প্রার্থী করেছে।</p> <p style="text-align:justify">বিক্রমাসিংহে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের নেতৃত্বে একটি কঠোর সংস্কার কর্মসূচির সূচনা করেছিলেন। সংখ্যাগরিষ্ঠ এসএলপিপি মন্ত্রিসভা থেকে সমর্থন নিয়ে অর্থনীতিকে পুনরুজ্জীবিত করেছিলেন।</p> <p style="text-align:justify">বিক্রমাসিংহে বলেন, ‘এই কঠিন কাজটি পরিচালনা করতে যারা আমাকে সমর্থন করেছেন তাদের কাছে আমি কৃতজ্ঞ। দেশের দায়িত্ব পালনের জন্য চ্যালেঞ্জের মুখে তারা পালিয়ে যায়নি।’</p> <p style="text-align:justify">গণমাধ্যমের তথ্যানুসারে, বিক্রমাসিংহে নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই প্রায় তিন বিলিয়ন ডলারের আইএমএফ বেইলআউট নিশ্চিত করার জন্য প্রয়োজনীয় কঠোর অর্থনৈতিক সংস্কার বাস্তবায়ন করেছেন। যা চার বছরের মধ্যে সম্পন্ন হবে।</p> <p style="text-align:justify">প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিক্রমাসিংহের এসব কঠোর সংস্কার অর্থনীতিতে স্থিতিশীলতা এনেছিল, যদিও বিরোধীরা বলেছিল যে আইএমএফ চুক্তির কারণে সৃষ্ট অর্থনৈতিক অসুবিধা জনসাধারণকে হতাশায় ফেলেছে। বিরোধী দল জনসাধারণকে ত্রাণ দিতে আইএমএফ প্রগ্রামের সঙ্গে ফের আলোচনা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।</p> <p style="text-align:justify">আগামী মাসের নির্বাচনে বিক্রমাসিংহের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী হবেন তার একসময়ের সহকারী সজিথ প্রেমাদাসা ও মার্ক্সবাদী জনতা বিমুক্তি পেরামুনার (জেভিপি) নেতা অনুরা কুমারা দিসানায়েক।</p> <p style="text-align:justify">দ্বীপ রাষ্ট্র শ্রীলঙ্কার স্বাধীন নির্বাচন কমিশন নির্বাচনের ঘোষণা দেওয়ার পর থেকে বেশ কয়েকজন ব্যক্তি তাদের সমর্থন রনিল বিক্রমাসিংহে ও সজিথ প্রেমাদাসার মধ্যে পরিবর্তন করেছেন। তবে এর বিপরীত ঘটনাও ঘটেছে।</p>