<p>রাষ্ট্রীয় টিভিতে ক্ষমা চাওয়ার ভিডিও প্রচারের এক সপ্তাহের মাথায় জার্মান তরুণের মৃত্যুদণ্ড মওকুফে ভূমিকা রাখলেন বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেক্সান্দার লুকাশেংকো। বেলারুশের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম মঙ্গলবার জানায়, প্রেসিডেন্ট লুকাশেংকো মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জার্মান নাগরিক রিকো ক্রিগারকে ক্ষমা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। জুন মাসে সন্ত্রাসবাদসহ বিভিন্ন অভিযোগে তাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়।</p> <p>প্রেসিডেন্ট লুকাশেংকোর প্রেস বিভাগ জানিয়েছে, তিনি ‘এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে সব পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেছেন।’ পরে জার্মান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এক মুখপাত্র নিশ্চিত করেন, বেলারুশে এক জার্মান নাগরিকের সাজা মওকুফ হয়েছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে তিনি বলেন, ‘এই খবর স্বস্তি নিয়ে এসেছে।’</p> <p>বেলারুশের রাজধানী মিনস্কে মঙ্গলবার জার্মান তরুণের সাজার বিষয়টি নিয়ে বৈঠক করেন প্রেসিডেন্ট লুকাশেংকো। বৈঠকে তিনি বলেন, ‘আমি আগেও বলেছি, একজন প্রেসিডেন্টের জীবনে মৃত্যুদণ্ডের সঙ্গে জড়িত এমন ঘটনাগুলো সত্যিই সবচেয়ে কঠিন।’</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="টিভিতে লুকাশেংকোর কাছে ক্ষমা চাইলেন মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জার্মান" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/07/26/1721986311-3ca98d34bcbd17d9f19547ce0e27aace.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>টিভিতে লুকাশেংকোর কাছে ক্ষমা চাইলেন মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জার্মান</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/world/2024/07/26/1408919" target="_blank"> </a></div> </div> <p><strong>যে মামলায় মৃত্যুদণ্ডের সাজা</strong><br /> রিকোর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের সব তথ্য প্রকাশ্যে না এলেও জানা গেছে, তিনি সংবেদনশীল সামরিক স্থাপনার ছবি তুলছিলেন ও ইউক্রেনের নিরাপত্তা বিভাগের সঙ্গে মিলে কাজ করছিলেন। কিন্তু এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে ইউক্রেন।</p> <p>গত মাসে গোপন বিচারপ্রক্রিয়ার মাধ্যমে বেলারুশের অপরাধ আইনের ছয়টি ধারায় অভিযুক্ত করা হয় ৩০ বছর বয়সী এই জার্মান তরুণকে।</p> <p>টেলিভিশনে সম্প্রচারিত বার্তায় অভিযুক্ত জার্মান তরুণ বলেন, ইউক্রেনের গুপ্তচর সংস্থা এসবিইউ তাকে এসব সামরিক স্থাপনার ছবি তুলতে ও একটি ট্রেনে বিস্ফোরক রাখতে বলেছে। সেই বোমা ফাটলেও কেউ আহত হয়নি বলে জানান তিনি।</p> <p><strong>রাশিয়া, ইউক্রেন ও বেলারুশ</strong><br /> সরাসরি রাশিয়ার হয়ে ইউক্রেনে হামলা না করলেও বেলারুশ এই অঞ্চলে রাশিয়ার সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ রাষ্ট্র। ইউক্রেন যুদ্ধের শুরুতে কিয়েভে দ্রুত পৌঁছতে রুশ সেনাদের যাতায়াতের জন্য বেলারুশ তার সীমান্ত খুলে দেয়।</p> <p>ওএসসিইর একটি প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘যতক্ষণ না বেলারুশের পক্ষ থেকে কোনো সহিংসতাপূর্ণ আচরণ করা হচ্ছে বা সরাসরি যুদ্ধে অংশগ্রহণ করা হচ্ছে’, ততক্ষণ পর্যন্ত বেলারুশকে এই যুদ্ধে শামিল হওয়া রাষ্ট্র বলা যাবে না।</p> <p>বেলারুশ বর্তমানে একমাত্র ইউরোপীয় রাষ্ট্র, যেখানে এখনো বহাল আছে মৃত্যুদণ্ড।</p>