<p>কয়েক হাজার বিক্ষোভকারী সোমবার পাকিস্তানের বন্দর নগরী গোয়াদরকে স্থবির করে দেয়। এ সময় সংঘর্ষে সেখানে এক সেনা ও এক বিক্ষোভকারী নিহত হন। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এ তথ্য জানিয়েছে।</p> <p>পাকিস্তানের সেনাবাহিনী বলেছে, সোমবার ‘বেআইনি সহিংস মিছিলের’ কারণে এক সেনা নিহত এবং ১৬ জন আহত হয়েছে। এ ছাড়া গোয়াদরের একজন সরকারি কর্মকর্তা নাম না প্রকাশের শর্তে জানান, রাস্তা অবরোধ উপেক্ষা করে বিক্ষোভে মানুষের যোগ দেওয়ার চেষ্টার ফলে সংঘর্ষ শুরু হয়। একজন বেসামরিক বিক্ষোভকারী সংঘর্ষে নিহত হয়েছেন। তিনি গোয়াদরের একজন দোকানদার। রবিবার তিনি মারা গেছেন।</p> <p>কর্তৃপক্ষ পাকিস্তানের বৃহত্তম ও দরিদ্রতম প্রদেশ বেলুচিস্তানের কিছু অংশে যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়েছে। সেখানে বিদ্রোহীরা কয়েক দশক ধরে সরকারের সঙ্গে লড়াই করছে। সেখানে বিক্ষোভে যোগ দিতে চাওয়া লোকেদের বাধা দিতে রাস্তা অবরোধ করা হয়েছে। বিক্ষোভের অন্যতম সংগঠক ও বেলুচ ইয়াকজেটি কমিটির (বিওয়াইসি) নেতা বেবার্গ বালোচ বলেন, ‘আমাদের গণতান্ত্রিক অধিকার সরকার আমাদের দিচ্ছে না। আমাদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে, গুলি করা হচ্ছে, নির্যাতন করা হচ্ছে।’</p> <p>এদিকে বিওয়াইসি সংগঠকরা জানিয়েছেন, বন্দর নগরীতে একজন নিহত হয়েছেন এবং অন্য জায়গায় বিক্ষোভে আরো দুজন নিহত হয়েছেন। অন্যদিকে সরকার বলেছে, বিক্ষোভকারীদের শহরে জমায়েত করার অনুমতি নেই। বন্দরটিকে একাধিকবার সশশ্ত্র বেলুচ জাতীয়তাবাদীরা লক্ষ্যবস্তু করেছে।</p> <p>গোয়াদরে চীন পরিচালিত একটি মেগা পোর্টের অবস্থান। কৌশলগতভাবে আরব সাগরে অবস্থিত বন্দরটি চীনের বিস্তৃত বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভের অংশ। বিক্ষোভকারীরা সেখানে শনিবার থেকে কথিত অধিকার লঙ্ঘন, গণগ্রেপ্তার ও অন্যায়ভাবে সম্পদ আহরণের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করছে। তাদের সঙ্গে বেলুচিস্তান প্রদেশের অন্যান্য স্থান থেকে আরো কয়েক হাজার বিক্ষোভকারী যোগ দিয়েছে।</p> <p>অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল নিরাপত্তা বাহিনীর ‘বেআইনি ও অপ্রয়োজনীয়’ বল প্রয়োগে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। এক্সে এক পোস্টে তারা বলেছে, নিরাপত্তা বাহিনী শনিবার আগের সমাবেশের সময় বিক্ষোভকারীদের ওপর গুলি চালালে ১৪ জন আহত হয়। এ ছাড়া বেলুচিস্তানের সরকার বলেছে, গোয়াদরে ২০ জনেরও বেশি লোককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে তারা হতাহতর বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।</p> <p>সূত্র : এএফপি</p>