<p>যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভানিয়া অঙ্গরাজ্যে সমাবেশে গুলিতে আহত হওয়ার পর স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন ট্রাম্প।ঘটনাস্থলে হামলাকারী ছাড়াও একজন দর্শক নিহত হয়েছেন। তার নাম কোরি কম্পারেটর। ৫০ বছর বয়সী পেশায় একজন দমকলকর্মী। পরিবারের সদস্যদের গুলির কবল থেকে বাঁচাতে গিয়ে তিনি গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়েছেন বলে এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। </p> <p>কোরি দুই সন্তানের জনক। স্থানীয় সময় শনিবার পেনসিলভানিয়ায় একটি সমাবেশে ট্রাম্পকে হত্যার চেষ্টার পর  তার মেয়ে অ্যালিসন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্ট দিয়েছেন। সেখানে তিনি লিখেছেন, ‘বাস্তব জীবনের একজন প্রকৃত সুপারহিরোর মৃত্যু হয়েছে।’</p> <p>তিনি আরো লিখেছেন, ‘তিনি আমার মা এবং আমাকে মাটিতে ছুঁড়ে ফেলে দেন... (এবং) আমাদের দিকে ছুটে আসা বুলেট থেকে আমাদের রক্ষা করেছিলেন।’ তিনি তার বাবাকে একজন সেরা বাবা হিসেবে বর্ণনা করেছে। যিনি সর্বদা সাহায্য করতে প্রস্তুত থাকতেন এবং সবার সঙ্গে মুহূর্তেই বন্ধু হয়ে যেতেন। </p> <p>পেনসিলভানিয়ার গভর্নরও কোরিকে একজন বীর হিসেবে বর্ণনা করে বলেছেন, ‘তার সম্মানে রাষ্ট্রীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হবে।’</p> <p>গভর্নর জোস শাপিরো সাংবাদিকদের আরো জানান, গত রাতে আমরা একজন পেনসিলভানিয়ানকে হারিয়েছি। কোরি একজন অগ্নিনির্বাপক কর্মী ছিলেন। তিনি সবাইকে বিশেষ করে... তার পরিবারকে খুব ভালোবাসতেন। এ ছাড়া কোরি সাবেক প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের একজন সমর্থক ছিলেন।</p> <p>হামলায় আহত দুইজনের পরিচয়ও জানানো হয়েছে। তারা হলেন ৫৭ বছর বয়সী ডেভিড ডাচ ও ৭৪ বছর বয়সী জেমস কোপেনহাভের। পুলিশ জানায়, তাদের দুইজনই পেনসিভানিয়ার বাসিন্দা। তাদের শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে।</p> <p>এফবিআই ইতিমধ্যে জানিয়েছে, গুলির ঘটনা ছিল ট্রাম্পকে ‘হত্যার চেষ্টা’। মুখের এক পাশে ও কানে রক্ত নিয়ে সিক্রেট সার্ভিস সদস্যদের সহায়তায় বেরিয়ে আসার পর ট্রাম্প বলেছেন, তার কানের ওপরের অংশের চামড়া ভেদ করে বুলেট চলে গেছে। ট্রাম্পের সমাবেশে হামলা করেছিলেন টমাস ম্যাথিউ ক্রুকস নামে ২০ বছরের এক যুবক। রিপাবলিকান পার্টির নিবন্ধিত ভোটার ছিলেন তিনি।</p> <p>সূত্র : এএফপি</p>