<p>গাজায় যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে বাইডেন প্রশাসন ইসরায়েলে বিপুল সংখ্যক অস্ত্রশস্ত্র পাঠিয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে ১০ হাজারের বেশি অত্যন্ত বিধ্বংসী ২০০০-পাউন্ড বোমা এবং হাজার হাজার হেলফায়ার মিসাইল। দুই মার্কিন কর্মকর্তা অস্ত্র চালানের নতুন একটি তালিকা সম্পর্কে জানিয়েছেন।</p> <p>এ বিষয়ে প্রকাশ্যে কথা বলার অনুমোদন নেই এমন কর্মকর্তারা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, গত অক্টোবরে গাজা যুদ্ধের শুরু এবং সাম্প্রতিক দিনগুলোতে যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলে কমপক্ষে ১৪ হাজারটি ২০০০ পাউন্ডের এমকে-৮৪ বোমা, সাড়ে ৬ হাজার রাউন্ড ৫০০ পাউন্ডের বোমা, ৩০০০ হেলফায়ার প্রিসিশন গাইডেড এয়ার টু গ্রাউন্ড মিসাইল, এক হাজার বাংকার বাস্টার বোমা, ২ হাজার ৬০০টি এয়ার ড্রপড বোমা এবং অন্যান্য অস্ত্র পাঠিয়েছে। </p> <p>যদিও কর্মকর্তারা বলেননি কবে এসব চালান করা হয়েছে, তবে অস্ত্রের মোট সংখ্যা থেকে এটি স্পষ্ট যে, অস্ত্র সরবরাহ সীমিত করার আন্তর্জাতিক আহ্বান এবং সম্প্রতি মার্কিন প্রশাসনের ইসরায়েলের জন্য শক্তিশালী বোমার একটি চালান স্থগিত করার সিদ্ধান্ত সত্ত্বেও মিত্রদের জন্য মার্কিন সামরিক সহায়তা সরবরাহে উল্লেখযোগ্য কোনো বিরতি দেওয়া হয়নি।</p> <p>সেন্টার ফর স্ট্র্যাটেজিক অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজের অস্ত্র বিশেষজ্ঞ টম কারাকো বলেছেন, ‘যদিও একটি বড় সংঘাতে এই সংখ্যক অস্ত্র তুলনামূলকভাবে দ্রুতই শেষ হয়ে যেতে পারে, তবে এই তালিকাটি স্পষ্টভাবে ইসরায়েলি মিত্রদের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থনকেই প্রতিফলিত করে।’</p> <p>তিনি আরো বলেন, ‘ তালিকাভুক্ত অস্ত্রশস্ত্রগুলো ইসরাইল হামাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বা হিজবুল্লাহর সঙ্গে সম্ভাব্য সংঘর্ষে ব্যবহার করবে।’ সরবরাহকৃত অস্ত্রের এই সংখ্যা নিয়ে করা প্রতিবেদনে গাজা যুদ্ধের শুরু থেকে ইসরায়েলে পাঠানো অস্ত্রের সর্বশেষ ও বিস্তৃত পরিসংখ্যান রয়েছে।</p> <p>হোয়াইট হাউস এ বিষয়ে রয়টার্সকে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি। ওয়াশিংটনে ইসরায়েলের দূতাবাসও তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।</p> <p>মার্কিন কর্মকর্তাদের একজন বলেছেন, গাজা সংঘাত শুরু হওয়ার পর থেকে ইসরায়েলে পাঠানো অস্ত্রের একটি বড় তালিকার অংশ এই চালান। বাইডেন প্রশাসনের একজন সিনিয়র কর্মকর্তা বুধবার সাংবাদিকদের বলেছেন, ওয়াশিংটন ৭ অক্টোবর থেকে ইসরায়েলে ৬.৫ বিলিয়ন মূল্যের অস্ত্র পাঠিয়েছে।</p> <p>সাম্প্রতিক সময়ে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু দাবি করেছেন, ওয়াশিংটন অস্ত্র সরবরাহ আটকে রেখেছে। এ কথা বারবার অস্বীকার করেছেন মার্কিন কর্মকর্তারা। তবে অস্ত্রের চালান পাঠানোয় কিছু ‘বাধা’র কথা স্বীকার করেছে তারা। বাইডেন প্রশাসন গাজার ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় শক্তিশালী বোমার পরিণতির কথা ভেবে ২০০০ পাউন্ড বোমার একটি চালান স্থগিত করে। তবে মার্কিন কর্মকর্তারা জোর দিয়ে বলেছেন, অন্যান্য সব অস্ত্র সরবরাহ অব্যাহত রয়েছে।</p> <p>একটি ২০০০-পাউন্ড বোমা পুরু কংক্রিট এবং ধাতু ভেদ করে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ব্যাসার্ধ তৈরি করতে পারে। বৃহস্পতিবার রয়টার্স জানিয়েছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলের সঙ্গে রাফাহতে সামরিক অভিযান নিয়ে উদ্বেগের কারণে মে মাসে বড় বোমার একটি চালান স্থগিত করে। বিষয়টি প্রকাশের পর আবার আলোচনা শুরু হয়।মার্কিন কর্মকর্তাদের একজন বলেছেন, পেন্টাগনের নিজস্ব মজুদে পর্যাপ্ত পরিমাণে অস্ত্র রয়েছে।</p> <p>সূত্র : রয়টার্স </p>