<p style="text-align: justify;">ভারতের উত্তর প্রদেশের গোরখপুরে যৌন নির্যাতনের শিকার হয়ে এক তরুণ আত্মহত্যা করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। চারজন পুরুষ তাকে বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) যৌন নির্যাতন করেছিল বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। শুক্রবার রাতে আত্মহত্যা করেন ভুক্তভোগী ওই তরুণ।</p> <p style="text-align: justify;">অভিযোগ করা হয়েছে, একটি হোটেলের কক্ষে আটকে রেখে চার পুরুষ মিলে যৌন নির্যাতন চালায়। সেই ঘটনার দৃশ্য ভিডিও করে তা ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে টাকা দাবি করে নির্যাতনকারীরা। শুক্রবার রাতে আত্মহত্যা করেন ভুক্তভোগী ওই তরুণ। শনিবার সকালে তার মরদেহ দেখতে পান পরিবারের সদস্যরা।</p> <p style="text-align: justify;">কর্মকর্তারা বলেন, নির্যাতনকারীদের মধ্যে একজনের সঙ্গে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পরিচয় হয়েছিল ওই তরুণের। তার সঙ্গে দেখা করতে গিয়েই ফাঁদে পড়েন তিনি।</p> <p style="text-align: justify;">পুলিশ সুপার (উত্তর) জিতেন্দ্র কুমার শ্রীবাস্তব সোমবার জানিয়েছেন, ভুক্তভোগী তরুণ তার ভাইয়ের সঙ্গে একটি ভাড়া বাড়িতে থেকে প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। করণ নামের একজনের সঙ্গে কথা বলতে শুরু করেন আদিত্য নামে ওই তরুণ। একদিন আদিত্যকে চিলুয়াতালে নিজ বাড়িতে আমন্ত্রণ জানান করণ।</p> <p style="text-align: justify;">গত বৃহস্পতিবার ২৩ বছর বয়সী ওই তরুণকে চিলুয়াতালের রেল বিহারের একটি হোটেলে নিয়ে যান করণ। সেখানে তার সঙ্গে যোগ দেয় আরো তিন সহযোগী। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী প্রথমে শাহপুর থানায় অভিযোগ দায়েরের চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু চিলুয়াতাল ও শাহপুরের মধ্যে এখতিয়ার সংক্রান্ত সমস্যার কারণে তাৎক্ষণিকভাবে এফআইআর নথিভুক্ত করা হয়নি।</p> <p style="text-align: justify;">অবশেষে গত শুক্রবার ভারতীয় দণ্ডবিধির বিভিন্ন ধারায় মামলা হয়। তাতে আসামি করা হয় করণ ওরফে আশুতোষ মিশ্র (২৬), দেবেশ রাজনন্দ (২৪), অঙ্গদ কুমার (২১) এবং মোহন প্রজাপতিকে (২০)। এদের মধ্যে তিনজনকে এরই মধ্যে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মোহন এখনো পলাতক। তাকে ধরার চেষ্টা চলছে।</p> <p style="text-align: justify;">সূত্র : এনডিটিভি</p>