<article> <p style="text-align: justify;">এক মানুষের আস্ত মাথা আরেকজনের শরীরের সঙ্গে যুক্ত করার এক ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। তবে এটি সত্যিকারের ছবি নয়, কম্পিউটারে তৈরি করা সিমুলেশন। এতে দেখা যায়, দুটি রোবট সার্জন এক শরীর থেকে মাথা কেটে নিয়ে পাশের টেবিলের মানুষের শরীরে প্রতিস্থাপন করে। ভিডিওটি নিছক সিমুলেশন হলেও যুক্তরাষ্ট্রের একটি নতুন প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান সত্যিই এই কৌশলটি নিয়ে কাজ করছে।</p> </article> <article> <p style="text-align: justify;">ব্রেইনব্রিজ নামের ওই স্নায়ু এবং বায়োমেডিক্যাল প্রকৌশল প্রতিষ্ঠানটি বিশ্বে প্রথমবারের মতো সম্পূর্ণ মাথা প্রতিস্থাপন করার উচ্চাভিলাষী কাজ হাতে নিয়েছে। ব্রেইনব্রিজ বলছে, এই প্রযুক্তি চিকিৎসার অযোগ্য স্টেজ-৪ ক্যান্সার এবং জটিল পক্ষাঘাত, আলঝেইমার্স ও পারকিনসন্সের রোগীদের জন্য নতুন আশা জোগাবে। এই পদ্ধতিতে মৃত্যুপথযাত্রী ব্যক্তির চেতনা, স্মৃতি এবং জ্ঞানীয় ক্ষমতা বাঁচিয়ে রাখতে তার মাথাটি একটি সুস্থ মানুষের শরীরে প্রতিস্থাপন করা হবে। ‘ব্রেইন ডেড’ হওয়া কোনো ব্যক্তির দান করে যাওয়া শরীরে মাথাটি বসানো হবে।</p> </article> <p style="text-align: justify;">বৈজ্ঞানিক সমাজ থেকে এই কাজটি সম্পর্কে এখনো কোনো প্রকাশ্য প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে ব্রেইনব্রিজ এ ধরনের বিষয় নিয়ে কাজ করা প্রথম কম্পানি নয়। কয়েকটি প্রতিষ্ঠান একই সঙ্গে মানুষের মস্তিষ্কের সঙ্গে কম্পিউটারের সংযোগ করা নিয়ে কাজ করছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বিখ্যাত হচ্ছে ইলন মাস্কের নিউরালিংক। প্রতিষ্ঠানটি সম্প্রতি পরীক্ষামূলকভাবে সর্বাঙ্গ অবশ এক মানুষের মস্তিষ্কে কম্পিউটার চিপ বসিয়েছে। এর সাহায্যে চিন্তার মাধ্যমে নির্দেশনা দিয়ে ওই মানুষটি সামান্য হলেও শারীরিক সক্রিয়তা দেখাতে পারবে।</p> <article> <p style="text-align: justify;">ব্রেইনব্রিজের এই প্রকল্পের প্রধান হাশেম আল-গাইলি বলেছেন, তাঁরা মস্তিষ্কের কোষের ক্ষতি ঠেকাতে ও প্রতিস্থাপিত মাথা আর দাতা দেহের মধ্যে বিরামহীন সামঞ্জস্য নিশ্চিত করতে অত্যাধুনিক রোবটিক সিস্টেম ব্যবহার করবেন। উন্নত এআইয়ের অ্যালগরিদম মেরুরজ্জু এবং স্নায়ু ও রক্তনালিগুলো নিখুঁতভাবে জোড়া দিতে রোবটকে সহায়তা করবে।</p> <p style="text-align: justify;">আল-গাইলি সামা টিভিকে বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য চিকিৎসাবিজ্ঞানের সীমানাকে আরো প্রসারিত করা এবং মৃত্যুর ঝুঁকির মুখে থাকা মানুষের জন্য উদ্ভাবনী সমাধান দেওয়া। পরীক্ষার ফলাফল ইতিবাচক হলে আট বছরের মধ্যেই প্রথম এই ধরনের অস্ত্রোপচার করা যেতে পারে।’</p> </article> <article> <p style="text-align: justify;">ভিডিওটি সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীদের মধ্যে বেশ চমক জাগিয়েছে। কেউ কেউ বলেছেন, এটি সৃষ্টিকর্তার বিষয়ে হস্তক্ষেপ করার শামিল। একজন ব্যবহারকারী মন্তব্য করেছেন, সম্ভবত শুধু ধনীরাই এই সুযোগ নিতে পারবেন।</p> <p style="text-align: justify;">সূত্র : <strong>এনডিটিভি</strong></p> </article>