<p>যথেষ্ট পশ্চিমা সামরিক সহায়তার অভাবে ইউক্রেন চলতি বছরেই রাশিয়ার কাছে পরাজয় মেনে নিতে বাধ্য হতে পারে বলে মনে করছে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ। বিশেষ করে  মার্কিন কংগ্রেসে আটকে থাকা ৬০০ কোটি ডলার অঙ্কের প্যাকেজের বড় মূল্য চোকাতে হচ্ছে সে দেশকে। ন্যাটোর বাকি সদস্য দেশগুলো সেই শূন্যস্থান পূরণ করতে পারছে না। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেনস্কি এমন অবস্থায় বারবার ক্ষোভ ও হতাশা প্রকাশ করছেন।</p> <p>জার্মানির ভাইস চ্যান্সেলর রবার্ট হ্যাবেক এক অঘোষিত কিয়েভ সফরে ইউক্রেনের প্রতি সংহতি জানিয়েছেন। আগামী জুন মাসে বার্লিনে ইউক্রেনের পুনর্গঠনসংক্রান্ত সম্মেলনে বিশেষ করে প্রতিরক্ষা ও জ্বালানি ক্ষেত্রে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতার ঘোষণা করেছেন হ্যাবেক। তিনি ইউক্রেনের প্রয়োজন মেটাতে জার্মানির সহায়তা চালিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার করেন।</p> <p>উল্লেখ্য, জার্মানি ইতিমধ্যে ইউক্রেনে একটি বাড়তি প্যাট্রিয়ট এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। জার্মানির চ্যান্সেলর ওলাফ শোলজ বৃহস্পতিবার বাকি ন্যাটো সদস্য দেশগুলোর উদ্দেশে অবিলম্বে ইউক্রেনে আরো এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম পাঠানোর ডাক দিয়েছেন। ব্রাসেলসে ইইউ শীর্ষ সম্মেলনে তিনি বলেন, ইউক্রেনের জরুরি আবেদনে সাড়া না দেওয়ার কোনো সংগত কারণ থাকতে পারে না। কমপক্ষে আরো ছয়টি প্যাট্রিয়ট সিস্টেমের অনুরোধ মেটাতে ন্যাটো এগিয়ে আসবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।</p> <p>অন্যদিকে প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি যাবতীয় সহায়তার জন্য জার্মানির প্রতি বিশেষ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। দৈনিক ভিডিও বার্তায় জার্মানির নেতৃস্থানীয় ভূমিকার প্রশংসা করে তিনি বলেন, শুধু ইউক্রেন নয়, ইউরোপের নিজস্বতা বজায় রাখতেও জার্মানি সাহায্য করছে। তাঁর মতে, শান্তিপূর্ণভাবে, আইন মেনে ইউরোপের মানুষের কল্যাণের লক্ষ্যে কাজ করছে সে দেশ। অস্ত্র ও গোলাবারুদের অভাব সত্ত্বেও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট যুদ্ধক্ষেত্রে আশাবাদী রয়েছেন। তিনি বলেন, দেশের মধ্যেই বোদানা আর্টিলারি সিস্টেমের উৎপাদন বাড়ানো সম্ভব হয়েছে। ফলে মাসে ১০টি ইউনিট তৈরি করা যাবে।</p> <p>এ দিকে রাশিয়ার গোয়েন্দা সংস্থা প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কিকে হত্যার ষড়যন্ত্র করছেন বলে সন্দেহ বাড়ছে। পোল্যান্ড ও জার্মানিতে রুশ গুপ্তচর সন্দেহে একাধিক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তারের পর এমন সন্দেহ আরো দানা বাঁধছে। এক পোলিশ নাগরিক সেই লক্ষ্যে রাশিয়ার সামরিক গোয়েন্দা সংস্থার কাছে পোল্যান্ডের দক্ষিণ-পূর্বে এক বিমানবন্দরে নিরাপত্তাব্যবস্থা সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাচার করছিল বলে কর্তৃপক্ষ দাবি করছে। জেলেনস্কি ঘন ঘন সেই বিমানবন্দর ব্যবহার করে বিদেশ সফর করেন। বিদেশি নেতারাও সেখানে নেমে রেলপথে কিয়েভের উদ্দেশে যাত্রা করেন। জার্মানির বাভারিয়া রাজ্যে রুশ গুপ্তচর সন্দেহে বৃহস্পতিবার দুই ব্যক্তির গ্রেপ্তারের পরও ইউরোপে রাশিয়ার গোপন কার্যকলাপ সম্পর্কে দুশ্চিন্তা বাড়ছে।</p>