<article> <p style="text-align: justify;">ইরানের সঙ্গে চলমান উত্তেজনা সত্ত্বেও ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় অভিযান অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী। গতকাল মঙ্গলবার ভোরের দিকে উপত্যকাটির উত্তর-পূর্ব দিকের বেইত হানুন শহরে সামরিক অভিযান চালায় তেল আবিব। বাস্তুচ্যুত লোকজন আশ্রয় নিয়েছে, এমন তিনটি স্কুল ভবন ট্যাংক ও সাঁজোয়া যান দিয়ে ঘিরে ফেলে ইসরায়েলি বাহিনী। তীব্র বিমান হামলা ও কামানের গোলা নিক্ষেপের মধ্য দিয়ে অভিযানটি শুরু হয়।</p> <p style="text-align: justify;"><img alt="গাজার আরেক শহরে ইসরায়েলি অভিযান" height="360" src="https://www.kalerkantho.com/_next/image?url=https%3A%2F%2Fcdn.kalerkantho.com%2Fpublic%2Fnews_images%2F2024%2F04%2F16%2F1713287454-202dacbd0f8ee6a631cc91988af0f923.jpg&w=1920&q=100" width="600" /></p> </article> <article> <p style="text-align: justify;">এরপর সাঁজোয়া যান ও ট্যাংক নিয়ে সেনারা ওই এলাকা ঘিরে ফেলে। এদিকে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী আইডিএফ দাবি করেছে, মধ্য গাজায় হামাসের ঘাঁটিতে অভিযান চালানো হচ্ছে। এ ছাড়া দক্ষিণ গাজার রাফাহ শহরে গত সোমবার রাতে ইসরায়েলি হামলায় অন্তত চারজন নিহত এবং বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে। কোনো সতর্কবার্তা ছাড়াই বিমান হামলা চালায় ইসরায়েল।</p> </article> <article> <p style="text-align: justify;">নিহতদের মধ্যে একটি শিশু ছিল বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা ওয়াফা। অন্যদিকে গত সোমবার রাতে উত্তর গাজার জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরে চালানো ইসরায়েলি বোমা হামলায় একটি মসজিদ ও আশপাশের কয়েকটি বাড়ি ধ্বংস হয়ে গেছে। এতে নারী ও শিশুসহ বহু হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর দাবি, মধ্য গাজার নুসরাত শরণার্থী শিবিরের আশপাশে হামাসের স্থাপনা, সুড়ঙ্গ ও সামরিক প্রাঙ্গণে হামলা চালিয়ে বেশ কয়েকজন যোদ্ধাকে হত্যা করেছে।</p> </article> <article> <p style="text-align: justify;">গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইসরায়েলি হামলায় গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় অন্তত ৪৬ জন নিহত এবং ১১০ জন আহত হয়েছে। গত অক্টোবর থেকে গতকাল পর্যন্ত অন্তত ৩৩ হাজার ৮৪৩ জন নিহত এবং আহত হয়েছে ৭৬ হাজার ৫৭৫ জন। ইউনিসেফ জানিয়েছে, গাজায় প্রতি ১০ মিনিটে একটি শিশু নিহত অথবা আহত হচ্ছে। শিশুদের হত্যা বন্ধ করার একমাত্র উপায় দীর্ঘস্থায়ী যুদ্ধবিরতি।</p> <p style="text-align: justify;">জাতিসংঘের ফিলিস্তিন বিষয়ক শরণার্থী সংস্থা ইউএনআরডাব্লিউএ বলেছে, গাজার খান ইউনিস শহর থেকে ইসরায়েলি বাহিনী চলে যাওয়ার পর সেখানকার স্কুলগুলো থেকে এক হাজার পাউন্ড (৪৫০ কেজি) ওজনের অবিস্ফোরিত বোমা উদ্ধার করা হয়েছে।</p> </article> <p style="text-align: justify;">অবিস্ফোরিত বোমার কারণে গাজায় নিরাপদে কাজ করা খুবই চ্যালেঞ্জের। গত মাসে জাতিসংঘ বলেছিল, গাজা থেকে অবিস্ফোরিত বোমা সরিয়ে নিতে কয়েক বছর ও কোটি কোটি ডলার ব্যয় হবে। ইউএনআরডাব্লিউএ জানিয়েছে, ত্রাণ প্রবেশের ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য কোনো পরিবর্তন হয়নি। গাজা উপত্যকায় দৈনিকে গড়ে ১৮১টি ত্রাণবাহী ট্রাক প্রবেশ করছে, যা প্রয়োজনের তুলনায় খুবই অপ্রতুল।</p> <p style="text-align: justify;">এ ছাড়া সবচেয়ে বেশি খাদ্য সংকটে ভোগা উত্তর গাজায় গত ২৩ জানুয়ারির পর থেকে প্রবেশ করতে পারেনি সংস্থাটি। ত্রাণের বিষয়ে জাতিসংঘ বলেছে, ইসরায়েল এখনো গাজায় ত্রাণ সরবরাহে বেআইনি নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে রেখেছে।</p> <p style="text-align: justify;">সূত্র : <strong>বিবিসি, আলজাজিরা</strong></p>