<p>গাজার বেসামরিক নাগরিকদের রক্ষা করুন, না হলে মার্কিন নীতি পরিবর্তন হবে। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে সতর্ক করে এমন কথাই বলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) নেতানিয়াহুর সঙ্গে ফোনালাপের সময় এই সতর্কবার্তা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।</p> <p>গত সোমবার ইসরায়েলি হামলায় ওয়ার্ল্ড সেন্ট্রাল কিচেন (ডব্লিউসিকে)-এর সাত কর্মী মৃত্যুর পরিপ্রেক্ষিতে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে ফোনে কথা বলেন। ইসরায়েলের এই প্রাণঘাতী হামলার পর বেসামরিকদের সুরক্ষার ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের অপেক্ষাকৃত কঠোর অবস্থানের জানান দিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।</p> <p>রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজা যুদ্ধে চলমান মার্কিন সমর্থন ও সহায়তা বৃদ্ধি পাবে কিনা, তা বেসামরিক নাগরিকদের মৃত্যু রোধে ‘নির্দিষ্ট, দৃঢ় পদক্ষেপের’ ওপর নির্ভর করছে বলে যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলকে জানিয়ে দিয়েছে। রয়টার্স বলছে, বাইডেন ইসরায়েলের আজীবন সমর্থক এবং ক্রমাগত বৈশ্বিক চাপের মুখেও গাজায় আগ্রাসন চালানো এই দেশটিতে সাহায্য বন্ধ করার বা দেশটিতে অস্ত্রের চালান বন্ধ করার চাপকে প্রতিহত করেছেন। তিনি প্রথমবারের মতো ইসরায়েলকে এই সতর্কবার্তা দিলেন। </p> <p>সহায়তা বন্ধে মার্কিন প্রেসিডেন্টের সম্ভাব্য এই হুমকি এমন একটি বিষয়, যা গাজায় প্রায় ছয় মাস ধরে চলা যুদ্ধের গতিশীলতা পরিবর্তন করতে পারে। বাইডেন ও নেতানিয়াহুর ফোন কলটি প্রায় ৩০ মিনিট স্থায়ী হয়েছিল। উভয় নেতার ফোন কল সম্পর্কে হোয়াইট হাউস বলেছে, প্রেসিডেন্ট বাইডেন ‘বেসামরিক ক্ষতি, মানবিক দুর্ভোগ এবং সাহায্য কর্মীদের নিরাপত্তার জন্য ইসরায়েলকে নির্দিষ্ট পদক্ষেপ ঘোষণা করতে এবং সেগুলো বাস্তবায়নের প্রয়োজনীয়তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন।’</p> <p>হোয়াইট হাউস এক বিবৃতিতে বলেছে, প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ‘স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছেন, গাজার ব্যাপারে মার্কিন নীতি ঠিক কী হবে, তা নির্ধারণ করা হবে ইসরায়েলের তাৎক্ষণিক পদক্ষেপের বিষয়ে আমাদের মূল্যায়নের মাধ্যমে।’ রয়টার্স বলছে, ওয়াশিংটন ইসরায়েলের শীর্ষ অস্ত্র সরবরাহকারী দেশ এবং বাইডেন প্রশাসন এতোদিন বেশিরভাগ সময়ই জাতিসংঘে ইসরায়েলকে কূটনৈতিক ঢালের মাধ্যমে রক্ষা করে এসেছে।</p> <p>গাজার বেসামরিক মানুষকে রক্ষার বিষয়ে হোয়াইট হাউসের কথারই পুনরাবৃত্তি করে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র যদি ইসরায়েলের কাছ থেকে কোনও পরিবর্তন না দেখে, তবে মার্কিন নীতিতে পরিবর্তন হবে। অন্যদিকে মার্কিন নীতিতে সম্ভাব্য পরিবর্তন সম্পর্কে জানতে চাইলে নেতানিয়াহুর মুখপাত্র তাল হেনরিচ ফক্স নিউজকে বলেছেন, ‘আমি মনে করি এটি এমন কিছু যা ওয়াশিংটনকে ব্যাখ্যা করতে হবে’।</p>