<p>লেবানন থেকে সিরীয় অভিবাসীদের আগমন বাড়ায় আবারও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে সাইপ্রাস। গত দুই দিনে লেবানন থেকে মোট ৩৫০ নতুন অভিবাসী দেশটিতে গেছেন। ইউরোপীয় পার্লামেন্টের প্রেসিডেন্ট রবার্টা মেস্টোলার সঙ্গে মঙ্গলবার সাক্ষাতের সময় সাইপ্রাসের প্রেসিডেন্ট নিকোস ক্রিস্টোডোউলিডেস তাঁর উদ্বেগের কথা জানান। </p> <p>সাক্ষাৎ শেষে ক্রিস্টোডোউলিডেস বলেন, ‘আমি পুরোপুরি বুঝতে পারি কী ধরনের চ্যালেঞ্জের মধ্য দিয়ে লেবানন যাচ্ছে। কিন্তু অভিবাসীদের সাইপ্রাসের দিকে ঠেলে দেওয়া এর উত্তর হতে পারে না এবং তা গ্রহণযোগ্য নয়।’</p> <p>ভূমধ্যসাগরে অবস্থিত সাইপ্রাস ইউরোপীয় ইউনিয়নের সবচেয়ে পূর্বের দেশ। সিরিয়া ও লেবানন থেকে মাত্র ১০০ মাইলের মধ্যে দ্বীপরাষ্ট্রটির অবস্থান। সম্প্রতি দেশটিতে সিরীয় অভিবাসনপ্রত্যাশীদের সংখ্যা বেড়েছে। অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যে থাকা লেবাননেও অনেক সিরীয় শরণার্থী আছে।</p> <p>নিকোশিয়া চায় ইউরোপীয় ইউনিয়ন সিরিয়ার ভেতরে কিছু অঞ্চল নিরাপদ বলে ঘোষণা করুক। এতে তারা সিরীয় শরণার্থীদের সেখানে ফেরত পাঠাতে পারবে। </p> <p>গত মাসে ইইউ কমিশনার মারগারিটিস শিনাস বলেন, তারা লেবাননের সঙ্গে একটি চুক্তি করতে পারেন। সাইপ্রাসের অভিযোগের প্রেক্ষিতে লেবানন যেন অভিবাসীদের তাদের দিকে ঠেলে দিতে না পারে সে জন্য এই চুক্তি করা হতে পারে। </p> <p>ইইউ এরই মধ্যে অভিবাসনের চাপ সামলাতে জোটের বাইরে বেশ কয়েকটি দেশের সঙ্গে চুক্তি করেছে। মূল লক্ষ্য হলো, ২৭ দেশের এই অঞ্চলের ওপর অভিবাসনের বাড়তি চাপ কমানো। মানবাধিকারকর্মীরা অবশ্য এই উদ্যোগের সমালোচনা করেছেন।</p> <p>সূত্র : ইনফোমাইগ্রেন্টস</p>