<p>পানিসংকটে ভুগছে গোটা ভারতের কর্ণাটক রাজ্য। সবচেয়ে ভয়াবহ অবস্থা বেঙ্গালুরুর। খরাদীর্ণ এই পরিস্থিতির মধ্যে রাজ্যের ছোট ছোট জলাশয় এবং নদীগুলোও শুকিয়ে যাচ্ছে। যেখানে সবাই একটু পানির জন্য মারমারি করছেন, হা-পিত্যেশ করছেন, সেখানে ধরা পড়ল এক অদ্ভুত দৃশ্য। শুকিয়ে যাওয়া একটি নদীকে ‘বাঁচাতে’ উদ্যোগী হয়েছেন এক কৃষক। ভারতীয় গণমাধ্যম আনন্দবাজার পত্রিকা রবিবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।</p> <p>প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাজ্যের হাভেরি জেলার সাঙ্গুরু গ্রাম। সেই গ্রামেরই কৃষক ভুবনেশ্বর শিদলাপুর। এই গ্রামেই তাঁর ৩০ একর জমি রয়েছে। তাতে আখ, ভুট্টা এবং নানা রকম সবজির চাষ করেন। তিনটি নলকূপ রয়েছে সেই জমিতে। ভুবনেশ্বরের জমি থেকে কিছুটা দূরে রয়েছে বরাদা নদী। তুঙ্গভদ্রার শাখা নদী। হাভেরি জেলার পানির অন্যতম আধার এই নদী। চাষের জন্য এই নদীর পানি ব্যবহার করা হয়। স্থানীয়রাও নিত্য প্রয়োজনীয় কাজেও এই নদীর পানিই ব্যবহার করেন। কিন্তু গরমের দাপটে নদীটি শুকিয়ে যাওয়ায় মহা সমস্যায় পড়েছে সাঙ্গুরু গ্রামের মানুষ।</p> <p>সেই সমস্যা দূর করতে একাই উদ্যোগ নেন ভুবনেশ্বর। তাঁর দাবি, গত ২৫ বছরে রাজ্যের এমন ভয়াবহ পরিস্থিতি দেখেননি। তাই নদীকে বাঁচাতে ভুবনেশ্বর নিজের একটি নলকূপকে কাজে লাগানোর সিদ্ধান্ত নেন। নদীতে পানির ধারা অব্যাহত রাখতে নিজের একটি নলকূপ থেকে নদীতে পানি সরবরাহ করে চলেছেন তিনি।</p> <p>এই কৃষক বলেন, ‘জেলার অধিকাংশ জলাশয় শুকিয়ে গেছে জানুয়ারির শুরুতেই। তিনটি নলকূপের মধ্যে দুটি চাষের কাজে ব্যবহার করি। তৃতীয় নলকূপটির পানি তাই নদীতে সরবরাহ করছি।’</p> <p>জেলা প্রশাসনের কাছেও তিনি আবেদন করেছেন, দিনে টানা ছয় ঘণ্টা নদীতে পানি সরবরাহ করার জন্য যেন বিদ্যুতের ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়।</p>