<article> <p style="text-align: justify;">সিরিয়ায় প্রচন্ড বিমান হামলা চালানোর পর লেবাননের ইরান সমর্থিত হিজবুল্লাহ বাহিনীর বিরুদ্ধে আরো বিস্তৃত অভিযান চালানোর হুমকি দিয়েছেন ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়াভ গ্যালান্ট। তাঁর এমন হুমকিতে মধ্যপ্রাচ্যে গাজা ঘিরে সৃষ্ট সংঘাত আরো বিস্তৃত অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ার শঙ্কা বেড়েছে। জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব পাসের জেরে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু গত শুক্রবার  হামাসের সঙ্গে নতুন করে যুদ্ধবিরতি আলোচনার অনুমোদন দিয়েছেন। তবে গাজায় ইসরায়েলের ধ্বংসাত্মক হামলা থামেনি।</p> </article> <article> <p style="text-align: justify;">ফিলিস্তিনি ছিটমহলটিতে গতকাল শনিবারও তুমুল বিস্ফোরণ আর সংঘর্ষের খবর জানিয়েছে প্রত্যক্ষদর্শীরা। দক্ষিণ গাজার খান ইউনিস শহরে গতকাল বিমান হামলা চালায় ইসরায়েল। শহরের আরেক প্রান্তে চলে গোলাবর্ষণ।</p> <p style="text-align: justify;">এদিকে সিরিয়ায় ইসরায়েলের বিমান হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৫২ জনে দাঁড়িয়েছে। নিহতদের মধ্যে ৩৮ সিরীয় সেনা এবং লেবাননের হিজবুল্লাহ বাহিনীর সাত সদস্য রয়েছেন। যুক্তরাজ্যভিত্তিক যুদ্ধ পর্যবেক্ষক সংগঠন সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটসের মতে, সিরিয়ার আলেপ্পো বিমানবন্দরের কাছে লেবাননের হিজবুল্লাহর একটি রকেটের ডিপো লক্ষ্যবস্তু করে গত শুক্রবার হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল।</p> <p style="text-align: justify;">সিরিয়ায় হামলার পর ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালেন্ট হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, তাঁরা হিজবুল্লাহ বাহিনীকে ধাওয়া করবে। বৈরুত, দামেস্ক কিংবা আরো দূরবর্তী স্থান যেখানেই হিজবুল্লাহর অবস্থান পাবে, সেখানেই ইসরায়েল হামলা চালাবে বলে তিনি হুমকি দিয়েছেন। গাজায় ইসরায়েলের আক্রমণের জেরে লেবাননের হিজবুল্লাহ বাহিনীর সঙ্গেও সংঘাতে জড়িয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। গত অক্টোবর থেকে প্রায় প্রতিদিনই দুই পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি গোলাবর্ষণ হয়ে চলেছে। </p> </article> <article> <p style="text-align: justify;"><strong>আরো মার্কিন অস্ত্র পাচ্ছে ইসরায়েল</strong></p> <p style="text-align: justify;">গাজার জনাকীর্ণ রাফাহ শহরে ইসরায়েলের স্থল অভিযানের হুমকি সত্ত্বেও তেল আবিবকে আরো আড়াই শ কোটি ডলারের বোমা আর যুদ্ধবিমান পাঠাতে যুক্তরাষ্ট্র সবুজ সংকেত দিয়েছে বলে গত শুক্রবার ওয়াশিংটন পোস্ট জানিয়েছে। রাফাহতে হামলা চালালে চরম বিপর্যয় ঘটবে বলে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় সাবধান করে আসছে।  এমন পরিস্থিতিতে  ইসরায়েলকে আরো প্রাণঘাতী অস্ত্র সরবরাহের খবরে যুক্তরাষ্ট্রের প্রবল সমালোচনা করেছে ফিলিস্তিনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।</p> </article> <article> <p style="text-align: justify;">এদিকে গাজায় নির্বিঘ্নে ত্রাণ সরবরাহ করার অনুমতি দিতে ইসরায়েলের প্রতি আন্তর্জাতিক বিচারালয়ের (আইসিজে) আদেশকে স্বাগত জানিয়েছে সৌদি আরব, বেলজিয়াম, দক্ষিণ আফ্রিকা। গাজায় ইসরায়েলের ধ্বংসাত্মক হামলায় প্রতিদিনই দীর্ঘ হচ্ছে মৃত্যুর মিছিল। গত অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত ছিটমহলটিতে ৩২ হাজার ৭০০ জন প্রাণ হারিয়েছে। আহতের সংখ্যা ৭৫ হাজার ছাড়িয়েছে।</p> <p style="text-align: justify;">ইসরায়েলি বাহিনীর তাণ্ডব থেকে নারী, শিশু, বৃদ্ধ কেউই রেহাই পাচ্ছে না। ধ্বংস, মৃত্যু আর চরম খাদ্যাভাবে গাজার বাসিন্দারা দিশাহারা হয়ে পড়েছে। যেকোনো মুহূর্তে ইসরায়েলের স্থল সেনাদের আক্রমণের ভয়ে রয়েছে দক্ষিণ গাজার সীমান্ত শহর রাফাহতে আশ্রয় নেওয়া বিপুলসংখ্যক মানুষ।</p> <p style="text-align: justify;">সূত্র : <strong>আলজাজিরা, এএফপি</strong></p> </article>