<p>চীন পশ্চিমা দেশগুলোর লাখো মানুষের ওপর রাষ্ট্রীয় হ্যাকিংয়ের পেছনে যুক্ত থাকার অভিযোগ নাকচ করে দিয়েছে। দেশটি পাল্টা যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যকে বলেছে, তাদের উচিত নিজেদের সাইবার হামলা বন্ধ করা। চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র এ মন্তব্য করে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে ‘রাজনৈতিক ফায়দাবাজির’ অভিযোগ তুলেছেন।</p> <p>চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র লিন জিয়ান বলেন, যুক্তরাজ্য তার নির্বাচন কমিশন এবং এমপিদের হ্যাক করার যে সাক্ষ্য-প্রমাণ দিয়েছে তা ‘অপ্রতুল’।<br /> যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য সাইবার হামলার জন্য চীনের রাষ্ট্র পরিচালিত একটি সাইবার ইউনিটকে দায়ী করেছে। যুক্তরাজ্য গত সোমবার দুই চীনা নাগরিক এবং একটি কম্পানির বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে বলে ঘোষণা করেছে। ব্রিটিশ সরকারের অভিযোগ, উহান শিয়াওরুইঝি সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি কম্পানি লিমিটেড নামের ওই প্রতিষ্ঠান চীনের রাষ্ট্রীয় আওতাধীন সাইবার গুপ্তচরবৃত্তি গ্রুপ অ্যাডভান্সড পারসিস্টেন্ট থ্রেট গ্রুপ ৩১ (এপিটি৩১)-এর হয়ে কাজ করে। একই দিন কিছু সময় পর যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, এপিটি ৩১-এর সন্দেহভাজন সহযোগী সাতজন চীনা নাগরিককে একটি ব্যাপক পরিসরের সাইবার-আক্রমণ অভিযান চালানোর জন্য অভিযুক্ত করা হয়েছে।</p> <p>তাদের বিরুদ্ধে ১৪ বছর ধরে চলা একটি হ্যাকিং তৎপরতার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র লিন জিয়ান জোরের সঙ্গে সব অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছেন। মঙ্গলবার বেইজিংয়ে নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যকে সাইবার নিরাপত্তা ইস্যু নিয়ে রাজনীতি বন্ধ করার আহ্বান জানাচ্ছি। চীনকে অপমান করা এবং চীনের ওপর একতরফা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা বন্ধ করুন। চীনের বিরুদ্ধে তাদের সাইবার হামলা বন্ধ করুন।’</p> <p>মুখপাত্র বলেন, ‘চীনা পক্ষ এরই মধ্যে যুক্তরাজ্যের পক্ষ থেকে জমা দেওয়া এপিটি ৩১-সম্পর্কিত তথ্যের প্রযুক্তিগত ব্যাখ্যাসহ জবাব দিয়েছে, যা স্পষ্ট করেছে যে যুক্তরাজ্যের দেওয়া প্রমাণগুলো অপর্যাপ্ত। ...দুর্ভাগ্যবশত আমরা যুক্তরাজ্যের পক্ষ থেকে প্রতিক্রিয়া পাইনি।’ লিন জিয়ান সাংবাদিকদের আরো বলেন, চীন তার আইনগত অধিকার এবং স্বার্থ দৃঢ়ভাবে রক্ষা করার জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। </p> <p>সূত্র : বিবিসি</p>