<p>গত সপ্তাহে প্রায় ১৫০ জনকে বহনকারী নৌকা ডুবে যাওয়ার পর ইন্দোনেশিয়ার পশ্চিমাঞ্চলীয় উপকূলে এখন পর্যন্ত অন্তত ১১ জন রোহিঙ্গা শরণার্থীর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা সোমবার এ তথ্য জানিয়েছেন।</p> <p>ইন্দোনেশিয়ান উদ্ধারকারীরা শুক্রবার ৭৫ জনকে উদ্ধার করার পর অবশিষ্ট রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য অনুসন্ধান বন্ধ করে দেয়। বেঁচে থাকা কিছু ব্যক্তির কাছ থেকে জানা যায়, কয়েক দিন আগে তাদের নৌকা ডুবে যাওয়ার সময় ও অন্য একটি নৌকা তাদের সাহায্যের চেষ্টা করার সময় কয়েক ডজন লোক ডুবে যায়।</p> <p>স্থানীয় অনুসন্ধান ও উদ্ধার অভিযানের প্রধান মুহম্মদ ফাথুর রাছমান জানান, প্রায় অর্ধ ডজন রোহিঙ্গাকে উপকূল থেকে ২৬ কিলোমিটার দূরে সমুদ্রে মৃত অবস্থায় পাওয়া গেছে। সোমবার বিকেলে তিনি ফোনে বলেন, ‘এখনই আরো ছয়টি মৃতদেহ সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। তারা সবাই নারী। আমরা একজন জেলে থেকে লাশের কথা শুনেছি। লাশগুলো হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হবে।’</p> <p>এর আগে জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা (ইউএনএইচসিআর) কর্মকর্তারা সাম্প্রতিক দিনগুলোতে পাঁচটি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছিলেন।</p> <p>সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বৃহস্পতিবার ৬৯ জন রোহিঙ্গাকে নাটকীয়ভাবে উদ্ধার করে, যারা নৌকাটি ডুবে যাওয়ার আগে কয়েক সপ্তাহ ধরে সাগরে ভেসেছে। অনেককে উল্টে যাওয়া নৌকার খোলসে আটকে থাকতে দেখা গেছে। এর আগে বুধবার আরো ছয়জনকে জেলেরা উদ্ধার করে।</p> <p>মুসলিম জাতিগত রোহিঙ্গারা মিয়ানমারে ব্যাপকভাবে নির্যাতিত হয়। প্রতিবছর হাজার হাজার রোহিঙ্গা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দীর্ঘ ও ব্যয়বহুল সমুদ্র যাত্রা করে। প্রায়ই তারা ছোট নৌকায় করে মালয়েশিয়া বা ইন্দোনেশিয়ায় পৌঁছনোর চেষ্টা করে। ইউএনএইচসিআর অনুসারে, নভেম্বরের মাঝামাঝি থেকে জানুয়ারির শেষ পর্যন্ত এক হাজার ৭৫২ রোহিঙ্গা শরণার্থী ইন্দোনেশিয়ার আচেহ ও উত্তর সুমাত্রা প্রদেশে অবতরণ করেছে, যাদের অধিকাংশই নারী ও শিশু।</p> <p>জাতিসংঘের সংস্থাটি আরো বলেছে, ২০১৫ সালের পর থেকে মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশটিতে সবচেয়ে বড় অনুপ্রবেশ এটি, যার পেছনে বাংলাদেশের রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবিরের অবস্থার অবনতি ও মিয়ানমারে সহিংসতার অব্যাহত হুমকি দায়ী।</p> <p>সূত্র : এএফপি</p>