<p>মস্কো হামলায় চার ব্যক্তির বিরুদ্ধে একটি রুশ আদালতে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আনা হয়েছে। সন্দেহভাজন ওই চার ব্যক্তিকে কনসার্ট হলে হামলার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত শুক্রবার (২২ মার্চ) মস্কোর একটি কনসার্ট হলে হামলা চালিয়ে ১৩৭ জনকে হত্যা করা হয়।  </p> <p>ঘটনার দিন কয়েকজন বন্দুকধারী মুখোশ পরে কনসার্ট হলে ঢুকে স্বয়ংক্রিয় রাইফেল দিয়ে এলোপাতাড়ি গুলি চালালে এ হতাহতের ঘটনা ঘটে। নাটকীয় একটি ভিডিওতে দেখা যায়, কনসার্টে অংশগ্রহণকারী আতঙ্কিত মানুষ নিজেদের বাঁচানোর চেষ্টা করছে। এ ছাড়া আগুন কমপ্লেক্সের ছাদে ছড়িয়ে পড়তে দেখা যায়। পেট্রোল ঢেলে তারা আগুন ধরিয়ে দিয়েছিল।</p> <p>ক্রোকাস কনসার্ট হলে এ হামলার দায় স্বীকার করেছে দ্য ইসলামিক স্টেট গ্রুপ (আইএস), একটি ভিডিও বার্তার মাধ্যমে বিষয়টি জানিয়েছে তারা। তবে কোনো প্রমাণ না থাকলেও এই হামলায় ইউক্রেন জড়িত বলে মনে করছেন রুশ কর্মকর্তারা। এদিকে এই অভিযোগ অযৌক্তিক বলে মন্তব্য করেছে কিয়েভ। </p> <p>এ ঘটনায় প্রথমে ১১ জনকে আটক করা হয় এবং পরে চারজন ওই হামলায় সরসরি যুক্ত থাকায় তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। তারা হলেন দালেরদজন মিরজোয়েভ, সাইদাকরামি মুরোদালি রাচাবালিজোদা, শামসিদিন ফারিদুনি ও মোহাম্মদসোবির ফায়জোভ। গতকাল রবিবার তাদের মস্কোর বাসমানি জেলা আদালতে আনা হয়। কনসার্টে হামলার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। </p> <p>গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তিদের মাঝে একজনকে হুইলচেয়ারে এবং বাকি তিনজনকে মুখোশ পরা অবস্থায় আদালতে আনা হয়। তাদের সকলের বিরুদ্ধেই সন্ত্রাসী হামলার অভিযোগ আনা হয়েছে। আদালতকক্ষে তাদের প্রবেশের ভিডিও প্রকাশ পেয়েছে। ভিডিওতে সবাইকেই আহত অবস্থায় দেখা যায়। অভিযুক্ত মিরজোয়েভ ও রাচাবালিজোদার চোখ ফোলা ছিল এবং চোখের চারপাশ কালচে দেখাচ্ছিল। আরেকজনের কানে মোটা ব্যান্ডেজ এবং মিরজোয়েভের ঘাড় প্লাস্টিক ব্যাগে মোড়ানো ছিল।</p> <p>বার্তা সংস্থা রয়টার্সে প্রতিবেদনে বলা হয়, ফায়জোভকে হুইলচেয়ারে করে আনা হয়। তার পরনে ছিল হাসপাতালের গাউন। দেখে মনে হয়েছে তার একটি চোখ নেই। অন্যদিকে ফারিদুনির মুখও বেশ ফোলা ছিল। </p> <p>আদালতে বিচারকার্য চলার পুরোটা সময়জুড়ে তাদের সবাইকে একটি কাচ ঘেরা বুথে রাখা হয় এবং সার্বক্ষণিক পাহারার মধ্যে রাখা হয়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টেলিগ্রামে প্রকাশিত আদালতের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, মিরজোয়েভ তাজিকিস্তানের নাগরিক। তিনি তার অপরাধ স্বীকার করেছেন। এ ছাড়া রাচাবালিজোদাও অপরাধ স্বীকার করেছেন। পরবর্তী শুনানি পর্যন্ত তাদের চারজনকে পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। </p> <p>রাশিয়ায় আইএসের হামলা এবারই প্রথম নয়। এর আগেও কয়েকবার তারা দেশটিতে হামলা চালিয়েছে, যাতে বহু মানুষ হতাহত হয়েছিল। সর্বশেষ ২০১৭ সালে সেন্ট পিটার্সবার্গে তারা হামলা চালিয়েছিল। </p> <p>সূত্র : বিবিসি</p>