<p>ইইউ ( ইউরোপীয় ইউনিয়ন) অ্যালেক্সি নাভালনির মৃত্যুর জন্য রাশিয়াকে দায়ী করেছে। এর জেরেই আরো কঠিন নিষেধাজ্ঞা জারির প্রস্তুতি শুরু করেছে তারা। ইইউর পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক প্রধান জোসেপ বরেল বলেছেন, পুতিনের আমলে রাশিয়ার জেলে তাঁকে তিলে তিলে হত্যা করা হয়েছে। গতকাল সোমবার ব্রাসেলসে ইইউর মন্ত্রীরা অ্যালেক্সি নাভালনির স্ত্রী ইউলিয়া নাভালনির সঙ্গে কথা বলেছেন এবং তাকে সমর্থনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।</p> <p>ইইউ একটি বিবৃতি জারি করে বলেছে, ‘নাভালনির অপ্রত্যাশিত মৃত্যু রাশিয়ার পরিকল্পিত দমননীতির আরেকটি উদাহরণ।  রাশিয়ার রাজনৈতিক নেতৃত্ব ও কর্তৃপক্ষকে যাতে এর মূল্য দিতে হয়,  সে জন্য ইইউ সর্বশক্তি দিয়ে চেষ্টা করবে। কঠোর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হবে।’ জোসেপ বরেল বলেছেন, ‘এই ঘটনার জন্য কারা দায়ী, আমরা তাদের চিহ্নিত করব। এই কাজ সহজ নয়, কারণ আমাদের রাশিয়ার দেওয়া তথ্যের ওপরই নির্ভর করতে হবে।’</p> <p>ইউরোপীয় পলিসি সেন্টারের রাশিয়া বিশেষজ্ঞ মারিয়া ডিডাব্লিউকে বলেছেন, ‘ব্যক্তিগত স্তরে নিষেধাজ্ঞা জারি করে খুব একটা লাভ হবে না। এটা প্রতিরোধকের কাজও করবে না। রাশিয়ার বিরোধী রাজনীতিকদের পাশে দাঁড়াতে হবে ইইউকে। যে রাজনীতিকদের জীবনের ঝুঁকি আছে, তারা যাতে সপরিবারে ইইউর দেশে এসে থাকতে পারেন এবং স্বাধীনভাবে তাদের কাজ চালাতে পারেন, সেই অধিকার তাদের দিতে হবে। তারা দেশ ছাড়তে চাইলে ইইউকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে হবে।’ তবে বরেল জানান, ‘রাশিয়ার বিক্ষুব্ধদের ইইউর অনেক দেশই রাজনৈতিক আশ্রয় দিয়েছে। তবে  নিরাপত্তার স্বার্থে তাদের সম্পর্কে কিছু বলা হয় না।’</p> <p><strong>নতুন নিষেধাজ্ঞা প্যাকেজ ২৪ ফেব্রুয়ারির মধ্যে?</strong></p> <p>ইউক্রেন আক্রমণের পর রাশিয়ার বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই কড়া নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে ইইউ। সেই নিষেধাজ্ঞার মধ্যে আছে রাশিয়ার তেল, গ্যাস ও কয়লা কেনা, যাতায়াত এবং প্রায় দুই হাজার ব্যবসায়ী ও রাজনীতিকের সম্পত্তি ফ্রিজ করে দেওয়া।</p> <p>ইউক্রেন যুদ্ধের দ্বিতীয় বার্ষিকী আসছে। ইইউর কূটনীতিকরা তাই আরো একগুচ্ছ নিষেধাজ্ঞা চালু করতে চলেছেন।  এক শরও বেশি ব্যক্তি ও সংস্থার বিরুদ্ধে তা চালু হবে। সর্বশেষ নিষেধাজ্ঞা নিয়ে হাঙ্গেরিও সবুজ সংকেত দিয়েছে। হাঙ্গেরির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সোমবার বলেছেন, তারা মস্কোর বিরুদ্ধে নতুন করে নিষেধাজ্ঞা চান না। তবে এই পরিকল্পনার বিরোধিতাও তারা করবেন না। ফলে এই সপ্তাহে নিষেধাজ্ঞার খসড়া অনুমোদিত হতে পারে। নিষেধাজ্ঞার ফলে রাশিয়ার অর্থনীতির ওপর চাপ পড়লেও রাশিয়া জানিয়েছে, নিষেধাজ্ঞা জারি করে তাদের বিপাকে ফেলা যাবে না।</p> <p> </p> <p> </p>