<p>ইতালির উপকূলগুলোতে বছরজুড়ে বিপুলসংখ্যক আশ্রয়প্রার্থীর আগমন ঘটলেও বিদেশি ও অনিয়মিত অভিবাসীদের সংখ্যা কমেছে। গত বছর দেশটিতে অভিবাসীদের আগমন উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। তবে কমেছে বিদেশিদের মোট সংখ্যা। অন্যদিকে বেড়েছে অনিয়মিতভাবে থাকাদের বৈধভাবে বসবাস ও কাজের সুযোগ পাওয়ার সংখ্যা। মিলানভিত্তিক সংস্থা আইএসএমইউর মঙ্গলবার প্রকাশিত গবেষণায় এমন তথ্য উঠে এসেছে।</p> <p>আইএসএমইউর গবেষণা অনুসারে, গত বছর ইতালিতে ৫৭ লাখ ৭৫ হাজার বিদেশি নাগরিকের বসবাস ছিল, যা ২০২২ সালের তুলনায় ৫৫ হাজার কম। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি সংখ্যায় ছিল ইউরোপের দেশ রুমানিয়ার নাগরিক। বিদেশিদের মধ্যে ২০২৩ সালে ১০ লাখের বেশি মানুষের চাকরির চুক্তি ছিল। এই সংখ্যা দেশটিতে কর্মসংস্থানে নিযুক্তদের ১০ শতাংশ। স্কুলগুলোতে ইতালীয় নাগরিক নয় এমন শিশুর সংখ্যা ১০.৬ শতাংশ।</p> <p>ক্রমান্বয়ে বসবাসের অনুমতি মেলায় ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাইরে থেকে আগত অনিয়মিত অভিবাসীদের সংখ্যা আগের চেয়ে প্রায় ৫০ হাজার কমেছে। ২০২২ সালে অনিয়মিত অভিবাসীর সংখ্যা ছিল পাঁচ লাখ ছয় হাজার, যা গত বছর চার লাখ ৫৮ হাজারে নেমে এসেছে।</p> <p>প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইতালি এখনো ইইউর বাইরের অভিবাসীদের প্রধান গন্তব্য ও ট্রানজিট দেশ। ইউরোপীয় ইউনিয়নে প্রবেশের আশায় লিবিয়া, তিউনিসিয়া থেকে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে প্রতি বছর বিপুলসংখ্যক অভিবাসী, শরণার্থী অনিয়মিতভাবে দেশটিতে পাড়ি জমায়। তাদের অনেকে ইতালিতে থেকে পরবর্তী সময়ে পশ্চিম ইউরোপের অন্য দেশগুলোতে যাওয়ার চেষ্টা করে।</p> <p>প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইতালিতে কয়েক বছর ধরে অবস্থান করা অভিবাসীদের সংখ্যা ক্রমান্বয়ে বাড়ছে। এমনকি অভিবাসীদের মধ্যে ইতালির নাগরিকত্ব পাওয়ার হারও উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। ২০২৩ সালে সংখ্যাটি দ্বিগুণ হয়েছে। </p> <p>অভিবাসীদের অধিকার ও শ্রমবাজারে অন্তর্ভুক্তি নিয়ে কাজ করা সংস্থা আইএসএমইউ বলছে, ইতালির উপকূলে পৌঁছনো অভিবাসীর সংখ্যা বেড়ে ২০১৪-২০১৭ সালের পর্যায়ে পৌঁছেছে। ২০২২ সালের এক লাখ ৫৭ হাজার জন ভূমধ্যসাগর তীরবর্তী দেশটিতে পৌঁছয়, যা তার আগের বছরের চেয়ে ৬৭ শতাংশ এবং ২০২১ সালের তুলনায় ১৩৩ শতাংশ বেশি। এর মধ্যে তিউনিশিয়ার উপকূল থেকে আসা মানুষের সংখ্যা বেড়েছে তিন গুণ। এ ছাড়া ভূমধ্যসাগর পেরুতে গিয়ে প্রাণ হারিয়েছে দুই হাজার ৪৯৮ জন, যা ২০২২ সালে ছিল এক হাজার ৪১৭ জন।</p> <p>সূত্র : ইনফোমাইগ্রেন্টস</p>