<p>কুয়েতের আমির শেখ মেশাল আল আহমাদ আল সাবাহ সে দেশের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শেখ মোহাম্মদ সাবাহ আল সালেমকে নিয়োগ দিয়েছেন। রাজকীয় ডিক্রি অনুসারে আমির তাঁকে একটি নতুন মন্ত্রিসভা গঠনের দায়িত্ব দিয়েছেন। দ্য ন্যাশনাল নিউজ বৃহস্পতিবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।</p> <p>প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শেখ মেশালের উদ্বোধনী ভাষণের পর প্রয়াত আমিরের ছেলে ও বিদায়ি প্রধানমন্ত্রী শেখ আহমদ নওয়াফ আল আহমদ আল সাবাহ মন্ত্রিসভার পদত্যাগপত্র হস্তান্তর করেন, যেখানে তিনি ‘জনগণ ও দেশের স্বার্থের ক্ষতি’র কথা উল্লেখ করে সমালোচনা করেছেন।</p> <p>নতুন প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ আগে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং উপপ্রধানমন্ত্রী ছিলেন। কিন্তু দুর্নীতিবিরোধী প্রতিশ্রুতির কথা উল্লেখ করে ২০১১ সালে তিনি উভয় ভূমিকা থেকে পদত্যাগ করেন এবং এক দশকেরও বেশি সময় ধরে রাজনীতির বাইরে ছিলেন।</p> <p>কুয়েত বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসের সহকারী অধ্যাপক বাদের আল সাইফ বলেন, ‘শেখ মোহাম্মদের সরকারে প্রত্যাবর্তন কিছু সময়ের জন্য একটি জনপ্রিয় দাবি ছিল। আমির তাঁর প্রথম বক্তৃতায় ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, নেতৃত্ব জনগণ থেকে দূরে নয়, তাদের কথা শুনছে। এটি তার একটি চমৎকার উদাহরণ।’</p> <p>শেখ মোহাম্মদ ১৯৫৫ সালে জন্মগ্রহণ করেছিলেন এবং তিনি কুয়েতের ১২তম আমির শেখ সাবাহ আল সালেম আল সাবাহর চতুর্থ ছেলে। তাঁর বাবা ১৯৬৫ থেকে ১৯৭৭ সাল পর্যন্ত কুয়েত শাসন করেছিলেন। তাঁর মা শেখা নুরা আহমেদ আল জাবের আল সাবাহও শাসক পরিবার থেকে এসেছেন।</p> <p>নতুন প্রধানমন্ত্রী অফিশিয়াল জীবনবৃত্তান্ত অনুসারে, শেখ মোহাম্মদ ক্যালিফোর্নিয়ার ক্লেরমন্ট কলেজ থেকে অর্থনীতিতে স্নাতক ডিগ্রি এবং হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতি ও মধ্যপ্রাচ্য স্টাডিজে পিএইচডি করেছেন। তিনি ২০১২-১৩ সাল পর্যন্ত অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে ভিজিটিং ফেলো ছিলেন। তাঁর স্নাতক থিসিস—কুয়েতে মুদ্রাস্ফীতির সমালোচনামূলক বিশ্লেষণ ১৯৭৮ সালে সালভাতোরি স্কলার পুরস্কার জিতেছিল।</p> <p>দ্য ন্যাশনাল নিউজ অনুসারে, শেখ মোহাম্মদ নব্বইয়ের দশকের গোড়ার দিকে বিভিন্ন সরকারি পদে নিযুক্ত হন। ১৯৯৩ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রে কুয়েতের রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এরপর ২০০১ থেকে ২০০৩ সাল পর্যন্ত পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী এবং ২০০৩ সালের জুলাই থেকে ২০১১ সালের অক্টোবর পর্যন্ত পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে উপপ্রধানমন্ত্রী নিযুক্ত হন এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। সবশেষে দুর্নীতিবিরোধী প্রতিশ্রুতির কথা উল্লেখ করে ২০১১ সালের অক্টোবরে উভয় ভূমিকা থেকে পদত্যাগ করেন।</p>