<p>কাতারের মধ্যস্থতায় ইসরায়েলের সরকার গাজায় অস্থায়ী যুদ্ধবিরতির জন্য চুক্তি অনুমোদন করেছে। তবে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু বলেছেন, ‘চুক্তি মানে যুদ্ধ বন্ধ হবে না।’ স্থানীয় সময় মঙ্গলবার দিবাগত রাতে চারদিনের যুদ্ধবিরতি চুক্তি অনুমোদন দেয় ইসরায়েল সরকার।</p> <p>যুদ্ধবিরতি নিয়ে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে বলা হয়েছে, ‘ইসরায়েল সরকার সব জিম্মিকে দেশে ফেরত আনতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’ বিবৃতিতে আরো বলা হয়েছে, “আজ রাতে সরকার এই লক্ষ্য অর্জনের প্রথম পর্যায়ের রূপরেখার অনুমোদন দিয়েছে। চুক্তি অনুসারে কমপক্ষে ৫০ জনকে জিম্মিকে (নারী ও শিশু) চার দিনের মধ্যে মুক্তি দেওয়া হবে। ওই সময়ে লড়াইয়ে বিরতি দেওয়া হবে। প্রতি অতিরিক্ত দশজন জিম্মিকে মুক্তি দেওয়া হলে বিরতিতে একটি অতিরিক্ত দিন থাকবে।”</p> <p><iframe frameborder="0" height="600" scrolling="no" src=" https://twitframe.com/show?url=linkhttps://twitter.com/IsraeliPM/status/1727091023552156003" width="600"></iframe></p> <p>আরো বলা হয়েছে, “ইসরায়েল সরকার এবং নিরাপত্তা পরিষেবাগুলো (ইসরায়েলি সেনাবাহিনী) সব জিম্মিকে স্বদেশে ফিরে আনার জন্য, হামাসকে নির্মূল সম্পূর্ণ করার জন্য এবং গাজা থেকে ইসরায়েল রাষ্ট্রের জন্য কোনো প্রকার হুমকি থাকবে না, তা নিশ্চিত করার জন্য যুদ্ধ চালিয়ে যাবে।”</p> <p>ইসরায়েলি সরকার গাজায় অস্থায়ী যুদ্ধবিরতি চুক্তির অনুমোদন দেয়, যখন নেতানিয়াহু ইসরায়েলি জনসাধারণের পক্ষ থেকে কয়েক সপ্তাহ ধরে চাপের সম্মুখীন হয়েছেন। বিশেষ করে গাজায় জিম্মি থাকা পরিবারগুলোর পক্ষ থেকে। চুক্তির আগে নেতানিয়াহু জিম্মিদের পরিবারের সঙ্গে কথা বলেছিলেন। সেখানে তিনি বলেছিলেন, ‘প্রিয়জনকে ফিরিয়ে দেওয়া একটি পবিত্র এবং ভালো কাজ।’</p> <p>কিন্তু চুক্তি নিয়ে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী এটাও স্পষ্ট করেছেন, গাজায় ইসরায়েলের যুদ্ধ শেষ করার কোনো ইচ্ছা নেই। তিনি বলেছেন, “আমাকে এটা পরিষ্কার করে বলছি, আমরা যুদ্ধে আছি এবং যুদ্ধ চালিয়ে যাব।” তিনি বলেন আরো বলেছেন, ইসরাইল তার লক্ষ্য অর্জন না করা পর্যন্ত থামবে না। চুক্তি অনুযায়ী, ৫০ ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দেবে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস ও ইসলামিক জিহাদ। বিনিময়ে ইসরায়েলেও তাদের জেলে বন্দি থাকা বেশ কিছু ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেবে। এদিকে, বন্দি বিনিময় সাপেক্ষে এই যুদ্ধবিরতির মেয়াদ আরও বাড়তে পারে।</p> <p><strong>সূত্র: আলজাজিরা</strong></p>