<p>শেষ যুক্তরাষ্ট্র সফর করেছিলেন ২০১৭ সালে। তারপর আবার যুক্তরাষ্ট্রে পা রাখলেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি চিন পিং। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গেও শীর্ষ বৈঠকে বসবেন শি চিন পিং। বাইডেনের সঙ্গে বৈঠকের পর শি চিন পিং যোগ দেবেন এশিয়া প্যাসিফিক ইকনমিক কোঅপারেশন ফোরামের বৈঠকে। প্রায় এক বছর পর বাইডেনের সঙ্গে শির মুখোমুখি বৈঠক হবে। যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে সম্পর্ক এখন খুবই খারাপ, দুই দেশের মধ্যে সংঘাত ও প্রতিদ্বন্দ্বিতা তুঙ্গে। অনেক বিশেষজ্ঞই মনে করেন, বর্তমান সময়ের সবচেয়ে ভয়ংকর প্রতিদ্বন্দ্বিতার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে এই দুই দেশ।</p> <p>শি সান ফ্রান্সিসকোতে নামার ঘণ্টা দুয়েক আগে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিংকেন এশিয়া প্যাসিফিক ইকনমিক কোঅপারেশনের বৈঠকে বলেন, এই অঞ্চলের দেশগুলোর অর্থনীতির ক্ষেত্রে নিজেদের পথে হাঁটার অধিকার আছে। এই অঞ্চলে পণ্য এবং মানুষের স্বাধীনভাবে চলাচলের অধিকার আছে। ব্লিংকেন চীনের নাম নেননি। কিন্তু তার কথার মধ্যে থেকে যুক্তরাষ্ট্রের নীতিটা আবার স্পষ্ট হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র বেশ কিছুদিন ধরে বলে আসছিল যে, এই অঞ্চলের ছোট দেশগুলোর ওপর চীন প্রভাব বিস্তার করার চেষ্টা করছে। </p> <p>তবে এর আগে বাইডেন জানিয়েছিলেন, তিনি চীনের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো করতে চান। দুই দেশের মধ্যে সেনাসহ সব পর্যায়ে স্বাভাবিক সম্পর্ক স্থাপন করতে চান। হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা বিষয়ক মুখপাত্র জন কিরবি বলেছেন, বাইডেন ও শির মধ্যে আলোচনায় ইয়রায়েল-হামাস এবং রাশিয়া-ইউক্রেন প্রসঙ্গ উঠবে। দুইটি ক্ষেত্রেই যুক্তরাষ্ট্রের মনোভাব স্পষ্ট করবেন বাইডেন। শি পরে মার্কিন শিল্পপতিদের সঙ্গেও নৈশভোজে মিলিত হবেন।</p>