<p>ভারতের আসাম ও অরুণাচল রাজ্যের সীমান্তের ধেমাজি এলাকায় সংঘর্ষে দুজন নিহত ও দুইজন নিখোঁজ। বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে ভারতের আসাম ও অরুণাচল রাজ্যের স্থানীয়রা সীমান্ত এলাকায় জড়ো হয়েছিলেন। এ সময় দুই পক্ষের সংঘর্ষ শুরু হলে দুজন নিহত হন। পুলিশ বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। </p> <p>আসামের ধেমাজি জেলা এবং অরুণাচল প্রদেশের লোয়ার সিয়াং জেলার সীমান্তে বিতর্কিত পানবাড়ি-তোরাজান এলাকায় গুলির ঘটনা ঘটলে বগা চুটিয়া এবং মনিতু গগৈ নামে দুইজন মারা যান এবং অন্য দুইজন  পুষ্পা  গগৈ এবং আকনি গোহাইন  আহত হন। তারা ধেমাজি জেলার বরবিলা চুটিয়াকারি ও মিলনপুর গ্রামের বাসিন্দা।</p> <p>সোমবার সকালে ঘটনার পরপরই উভয় জেলার জেলা প্রশাসন ও পুলিশ কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন। ধেমাজি এলাকায় স্থানীয়রা দাবি করছে, এর পেছনে অরুণাচল প্রদেশের লোকজনের হাত থাকতে পারে। কারণ অরুণাচলের সঙ্গে একটা অতীতের দ্বন্দ্ব রয়েছে।</p> <p>পুলিশ সুপার রঞ্জন ভুঁইয়া বলেছেন, ‘এ অঞ্চলের সংরক্ষিত বনে একটি বিতর্কিত অংশ রয়েছে, যা উভয় রাজ্যই তাদের বলে দাবি করেছে। আসামের কাছাকাছি গ্রামের কিছু মানুষ আজ সকালে সেখানে গাছ লাগাতে গিয়েছিল। এরপর অরুণাচলের কিছু লোকের সঙ্গে সংঘর্ষ বাধে। যা বাড়তে থাকে এবং একপর্যায়ে তাদের গুলি করা হয়। একটি পক্ষ থেকে প্রায় ২০ জন মানুষ গুলি চালিয়েছিল। আমরা সেই ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছি। তারা ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে গিয়েছিল।’</p> <p>লোয়ার সিং জেলার একজন সিনিয়র পুলিশ কর্মকর্তা বলেছেন, এলাকায় অমীমাংসিত জমি নিয়ে বিবাদের কারণে অগ্নিসংযোগ খুবই সাধারণ ঘটনা সেখানে। জেলা পুলিশ এলাকার পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করছে এবং ধেমাজি পুলিশের সঙ্গে সমন্বয় করার চেষ্টা করছে।’</p> <p>উল্লেখ্য, আসাম ও অরুণাচলের মধ্যে প্রায় ৮০৪ কিমি সীমান্ত রয়েছে। দুই পক্ষই সীমান্ত সমস্যা মেটাতে বারবার আলোচনায় বসেছে। ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এ সমস্যা মেটানোর উদ্যোগও নিয়েছিলেন। দুই দেশের মুখ্যমন্ত্রীর মধ্যে গত ২০ এপ্রিল একটি সমঝোতা স্বাক্ষর হয়েছিল।</p> <p>সূত্র : ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস<br />  </p>