<p>কানাডার টরন্টোতে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত বাংলাদেশি শিক্ষার্থী অ্যাঞ্জেলা শ্রেয়া বাড়ৈর লাশবাহী বিমান আজ (শুক্রবার) দেশের উদ্দেশ্যে রওনা করবে। টরন্টোর স্থানীয় সময় রাতে মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক একটি ফ্লাইটে তার মরদেহ দেশের উদ্দেশ্যে যাত্রার সময় নির্ধারিত রয়েছে।</p> <p>বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় অ্যাঞ্জেলার ফুফাতো ভাই জুয়েল ডি কস্তা কালের কণ্ঠকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন। আঞ্জেলার মরদেহ আগামীকাল (শনিবার) ভোরে দেশে পৌঁছবে বলে ধারণা করছেন তিনি।</p> <p>কালের কণ্ঠকে জুয়েল বলেন, ‘অ্যাঞ্জেলার মরদেহ দেশে আনার বিষয়ে সকল আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়েছে। আশা করছি শনিবার ভোরে তার মরদেহ দেশে পৌঁছবে।’</p> <p>ঢাকায় বিমানবন্দরে অ্যাঞ্জেলার শবদেহ গ্রহণ করবেন তার বাবা জেমন সুনাম বাড়ৈ। জেমন বাড়ৈ একই ফ্লাইটে ফিরবেন কি না বিষয়টি নিশ্চিত করতে পারেনি জুয়েল ডি কস্তা।</p> <p>এদিকে নিহত অপর দুই শিক্ষার্থীর লাশ দেশে আনতে আরো কিছুদিন সময় লাগবে। তাদের শবদেহ দেশে ফেরানোর জন্য এখনো কিছু আনুষ্ঠানিকতা বাকি রয়েছে।</p> <p>এর আগে গত ১৩ ফেব্রুয়ারি কানাডার টরন্টোয় স্থানীয় সময় রাত সাড়ে এগারটায়, ৪২৭ সাউথ বাউন্ড হাইওয়ের ডানডাস এক্সিটে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয় তিন বাংলাদেশি শিক্ষার্থী আরিয়ান দীপ্ত (১৭), এঞ্জেলা বাড়ৈ (২০) ও শাহরিয়ার খান (২০)। ওই ঘটনায় আহত হয় কুমার নিবিড় নামে আরেক শিক্ষার্থী। তিনি সংগীতশিল্পী কুমার বিশ্বজিতের একমাত্র ছেলে। </p> <p>ছেলের দুর্ঘটনা আক্রান্ত হওয়ার খবর শুনে ১৪ ফেব্রুয়ারি রাতে কানাডায় পৌঁছান কুমার বিশ্বজিত্ ও তার সহধর্মীনি। ১৭ জানুয়ারি কানাডায় পৌঁছান অ্যাঞ্জেলার বাবা জেমস সুনাম বারৈ। এর আগে টরন্টোতে পৌঁছান শাহরিয়ার খানের বাবা শরীফ খান ও আরিয়ানের বড় বোন।</p>