<p>ইরাকে ২২ বছর বয়সী এক সোশ্যাল মিডিয়া প্রভাবশালীর মৃত্যু দেশটিতে চলমান ‘পরিবারের সম্মান রক্ষায় হত্যা’ (অনার কিলিং) সংস্কৃতির ওপর ক্ষোভের জন্ম দিয়েছে। দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সাদ মান শুক্রবার টুইটারে বলেছেন, দিওয়ানিয়া প্রদেশে তিবা আল-আলিকে তার বাবা ৩১ জানুয়ারি হত্যা করেছেন। দি ইনডিপেনডেন্ট অনুসারে, তিবার বাবা তুরস্কে তার একা থাকার সিদ্ধান্তে অসন্তুষ্টি থেকে তাকে হত্যা করেছেন।</p> <p>একাধিক টুইট বার্তায় সাদ বলেছেন, পুলিশ ২২ বছর বয়সী একটি মেয়ে এবং তার আত্মীয়দের মধ্যে চলা পারিবারিক বিরোধ একটি নির্দিষ্ট উপায়ে সমাধান করার চেষ্টা করেছে। তবে তিনি বিরোধের ভিত্তি সম্পর্কে বিশদ বিবরণ না দিয়ে বলেছেন, পরিবারটির সঙ্গে পুলিশ পরদিন দেখা করার পর ওই মেয়ের মারা যাওয়ার কথা শুনে তারা হতবাক হয়েছে। কারণ মেয়েটির বাবা তার নিজের হাতে মেয়েটিকে হত্যার কথা প্রাথমিক স্বীকারোক্তিতে স্বীকার করেছেন।</p> <p>দি ইনডিপেনডেন্ট অনুসারে, তিবা একজন ইউটিউবার ছিলেন। তিনি প্রায়ই তুরস্কে তার জীবনযাপনের ভিডিও পোস্ট করতেন। তার ভিডিওতেও নিয়মিত তার বাগদত্তাকেও দেখা যেত।</p> <p>এএফপির সঙ্গে কথা বলে পুলিশ নিশ্চিত করেছে, মেয়েটি এবং তার পরিবারের মধ্যে চলা ‘বিরোধ’ বেশ কয়েক বছর আগের। তিবা ২০১৭ সালে তার পরিবারের সঙ্গে তুরস্ক ভ্রমণ করেছিলেন। কিন্তু তিনি পরিবারের সঙ্গে দেশে ফেরেননি। তিনি সেখানেই থেকেছেন।</p> <p>তিবার মৃত্যু এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্ষোভের জন্ম দিয়েছে। মানুষ তার মৃত্যুর প্রতিক্রিয়ায় ন্যায়বিচারের দাবিতে বাগদাদে বিক্ষোভের ডাক দিয়েছে। অ্যাক্টিভিস্ট আলা তালাবানি লিখেছেন, ‘আমাদের সমাজের নারীরা আইনি বাধা এবং সরকারি পদক্ষেপের অনুপস্থিতির কারণে পশ্চাৎপদ প্রথার কাছে জিম্মি, যা বর্তমানে পারিবারিক সহিংসতা অপরাধের ব্যাপকতার সঙ্গে সংগতিপূর্ণ নয়। পারিবারিক সহিংসতাবিরোধী আইন প্রণয়ন করা প্রয়োজন।’</p> <p>অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালও ‘ভয়াবহ’ এই হত্যাকাণ্ডের নিন্দা করেছে। গোষ্ঠীটির মধ্যপ্রাচ্য এবং উত্তর আফ্রিকা অঞ্চলের উপপরিচালক আয়া মাজজুব বলেছেন, ‘যতক্ষণ না ইরাকি কর্তৃপক্ষ নারীদের সুরক্ষার জন্য শক্তিশালী আইন প্রণয়ন করবে, ততক্ষণ আমরা অনিবার্যভাবে ভয়ংকর হত্যাকাণ্ডের সাক্ষী হব।’</p> <p>সূত্র : এনডিটিভি</p>