<p>ভারতের চণ্ডীগড় বিশ্ববিদ্যালয়ের এমএমএস কেলেঙ্কারিতে এক সেনা সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পাঞ্জাব পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, হোস্টেলের ছাত্রীদের গোসলের ভিডিও করার দায়ে অভিযুক্ত ছাত্রীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল এই সেনা সদস্যের। জিজ্ঞাসাবাদে নিজেই এ কথা স্বীকার করেছেন তিনি।</p> <p>ভারতীয় গণমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডে পুলিশ সূত্রের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পরিচয় হয়েছিল অভিযুক্ত চণ্ডীগড় বিশ্ববিদ্যালয়ের এমবিএ ছাত্রী এবং সঞ্জীব নামের সেনা সদস্যের। পরে তারা ফোন নম্বর আদানপ্রদান করেন। সঞ্জীবের দুটি ফোন বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ।</p> <p>চণ্ডীগড় বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত ছাত্রীর হোয়াটসঅ্যাপ কথোপকথন থেকে পুলিশ জানতে পেরেছে যে সঞ্জীবের সঙ্গে তার সব সময় কথা হতো। একে অপরকে প্রায়ই ভিডিও ও ছবি পাঠাতেন তারা। তবে অভিযুক্ত ছাত্রীকে এসব ভিডিও ধারণ করতে চাপ প্রয়োগ করতেন সঞ্জীব। ওই ছাত্রী তার প্রেমিককে জানিয়েছিলেন তিনি এসব কাজে স্বাচ্ছন্দবোধ করেন না।</p> <p><strong>আরো পড়ুন : <a href=\"https://www.kalerkantho.com/online/world/2022/09/25/1187063\">বান্ধবীদের গোপন ভিডিও ও ছবি পাঠাতেন বন্ধুকে, গ্রেপ্তার তরুণী ও যুবক</a></strong></p> <p>প্রসঙ্গত, ছাত্রীদের গোসলের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগে গত ১৮ সেপ্টেম্বর চণ্ডীগড় বিশ্ববিদ্যালয়ে তীব্র উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। পরে এই ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ জানায় এমন কোনো ঘটনাই ঘটেনি। তবে তদন্তে জানা যায়, সানি মেহতা এবং রঙ্কজ বর্মা নামে দুই ব্যক্তি অভিযুক্তকে এসব ভিডিও ধারণ করতে জোর করতেন।</p> <p>তাদের সবাইকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।</p> <p>সূত্র : আনন্দবাজার।</p>