মোহাম্মদ জুবায়ের
২০১৮ সালের বিতর্কিত টুইট মামলায় ভারতের সাংবাদিক মোহাম্মদ জুবায়েরের জামিন আবেদন খারিজ করলেন আদালত।
দিল্লির মুখ্য বিচার বিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট স্নিগ্ধা শ্রীবাস্তব শনিবার দিল্লি পুলিশের আবেদন গ্রহণ করে খবরের সত্যতা যাচাই করার সংবাদমাধ্যম অল্ট নিউজের এই সহ-প্রতিষ্ঠাতাকে ১৪ দিনের কারা হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।
চার বছরের পুরনো মামলার আটক জুবায়েরের বিরুদ্ধে শনিবার আবার নতুন অভিযোগ এনেছে দিল্লি পুলিশ। তার মধ্যে রয়েছে অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র এবং প্রমাণ ধ্বংস করা।
বিজ্ঞাপন
প্রসঙ্গত, বিজেপি নেত্রী নূপুর শর্মা টেলিভিশন অনুষ্ঠানে মহানবী (সা.)-কে নিয়ে যে বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন, তা জুবায়েরই প্রথম নেট মাধ্যমে প্রকাশ্যে আনেন।
জুবায়েরের আইনজীবী আদালতে বলেন, ‘ফোন ফরম্যাট করা বেআইনি কাজ নয়। ’ তিনি আরো বলেন, জুবায়ের যে টুইট করেছিলেন তা ১৯৮৩ সালে সেন্সর বোর্ডের ছাড়পত্র পাওয়া ছবিরই দৃশ্য। অন্যদিকে পুলিশের যুক্তি, ‘এটি নিছক একটি টুইটের ব্যাপার নয়। তখন (১৯৮৩ সালে) কোনো ইন্টারনেট ছিল না। সিরিয়া ও পাকিস্তানের মতো দেশ থেকে জুবায়েরের অনুদান গ্রহণের বিষয়টিও তাৎপর্যপূর্ণ। ’
জুবায়েরের ২০১৮ সালের একটি টুইটে ‘ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত লেগেছে’, এই অভিযোগ তুলে দিল্লি পুলিশ গত রবিবার তাকে গ্রেপ্তার করে। সোমবার তাকে এক দিনের জন্য পুলিশ হেফাজতে পাঠানো হয়। আবার জেরার জন্য পুলিশ হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানালে মঙ্গলবার বিচারক আরো চার দিনের হেফাজত মঞ্জুর করেন। সেই সময়সীমা শেষ হওয়ায় শনিবার দিল্লির একটি আদালতে জুবায়েরের তরফে জামিনের আবেদন করেছিলেন তার আইনজীবী বৃন্দা গ্রোভার।
অন্যদিকে দিল্লি পুলিশের কৌঁসুলি জামিনের বিরোধিতা করে জুবায়েরকে ১৪ দিনের পুলিশ হেফাজতে পাঠানোর আবেদন করেন আদালতে। তবে দিল্লি পুলিশ শনিবার আদালতকে জানিয়েছে, তদন্তের জন্য জুবায়েরকে আর জেরা করার প্রয়োজন নেই।
সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা, এনডিটিভি