ইউক্রেনীয় সেনারা পিছিয়ে নতুন প্রতিরক্ষা অবস্থানে গিয়েছে- ছবি: ইপিএ/বিবিসি
রাশিয়ার বাহিনী এখন পূর্ব ইউক্রেনের বিধ্বস্ত শহর সেভেরোদোনেৎস্কের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে জানিয়েছেন এর মেয়র।
ওলেক্সান্দার স্ত্রাইউক ইউক্রেনীয় টিভিকে বলেন, ‘রাশিয়ার সেনারা সেভেরোদোনেৎস্ক পুরোপুরি দখল করেছেন। আমাদের সামরিক বাহিনী পিছিয়ে আরো প্রস্তুত অবস্থানে ফিরে গেছে। ’
রাশিয়ার সেনাদের কয়েক সপ্তাহের ভারী গোলাবর্ষণ সেভেরোদোনেৎস্কের বেশির ভাগ ধ্বংসস্তূপে পরিণত করেছে।
বিজ্ঞাপন
অনেক বেসামরিক নাগরিক বিশাল আজোত রাসায়নিক কারখানায় আশ্রয় নিচ্ছে। মেয়র স্ত্রাইউক বলেছেন, এখন শহর ছেড়ে বের হওয়ার একমাত্র রাস্তা রাশিয়ার দখলে থাকা অঞ্চলের মধ্য দিয়ে।
রাশিয়ার সেনাবাহিনীর মিত্র রুশপন্থী বিদ্রোহীরা বলেছেন, তারা কাছের আরেক শহর লিসিচানস্কের কিছু অংশে ঢুকে পড়েছে। শহরটি সিভারস্কি দোনেৎস নদীর ওপারে সেভেরোদোনেৎস্কের মুখোমুখি। তবে ইউক্রেনের কর্মকর্তারা বিষয়টি নিশ্চিত করেননি।
একসময় লাখখানেক বাসিন্দার শহর সেভেরোদোনেৎস্কের পথে পথে রাস্তায় তীব্র লড়াই হয়েছে। এর বেশির ভাগ বাসিন্দা পালিয়ে গেছে।
সেভেরোদোনেৎস্ক শহরটি রাশিয়ার দখলে নেওয়ার অর্থ হলো দেশটির বাহিনী এখন প্রায় সমস্ত লুহানস্ক অঞ্চল এবং প্রতিবেশী দোনেৎস্কের বেশির ভাগ নিয়ন্ত্রণ করছে। এ দুটি অঞ্চল মিলে দনবাস শিল্প এলাকা।
শুক্রবার রাত এবং শনিবার রাশিয়া ইউক্রেনের উত্তর ও পশ্চিমের লক্ষ্যবস্তুতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়। ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী বলেছে, ওই হামলার মধ্যে ছিল প্রথমবারের মতো টিইউ-২২ বোমারু বিমান থেকে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ। উত্তরে অবস্থিত রাশিয়ার মিত্র দেশ বেলারুশের ওপর দিয়ে উড়ে এসেছিল ওই বিমানগুলো।
ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী বলেছে, কৃষ্ণসাগরে থাকা রুশ জাহাজ থেকে ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রও নিক্ষেপ করা হয়েছে। পশ্চিমের লভিভ অঞ্চল এবং উত্তর-পশ্চিম ইউক্রেনের জাইতোমিরে অবস্থিত সামরিক স্থাপনায় ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হয়েছিল।
ইউক্রেন কর্তৃপক্ষ উত্তরে চেরনিহিভের কাছের গ্রাম দেসনায় ভারী রকেট হামলারও খবর দিয়েছে। সূত্র : বিবিসি।