ধ্বংসাবশেষের ওপর বসে আছেন এক ব্যক্তি। ছবি: বিবিসি
আফগানিস্তানে মঙ্গলবার রাতের ভূমিকম্পের পর দেখা দিয়েছে খাদ্য, বাসস্থান ও সুপেয় পানির চরম সংকট।
গত দুই দশকের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ ভূমিকম্পের শিকার হয়েছে আফগানিস্তান। পাঁচ দশমিক ৯ মাত্রার (আরেক প্রতিষ্ঠানের হিসাবে ৬.১) ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে পাকিস্তান ও আফগান সীমান্ত এলাকা। শুক্রবারও চার দশমিক তিন মাত্রার পরঘাতে কেঁপে ওঠে দেশটি।
বিজ্ঞাপন
ভূমিকম্পে গ্রামের পর গ্রাম সমান হয়ে গেছে। মৃতদের লাশ দাফনে হিমশিম খাচ্ছেন স্বজনরা। ২১ বছর বয়সী জাইতুল্লাহ গুরজিওয়াল বলেন, ‘এখানে কাঁথাকম্বল কিংবা থাকার জন্য কোনো তাঁবু নেই। আমাদের সুপেয় পানি সরবরাহ ব্যবস্থা একদম ধ্বংস হয়ে গেছে। খাবার বলতে কিচ্ছু নেই। ’
এদিকে ভূমিকম্পে বেঁচে যাওয়া আফগানরা এ পরিস্থিতিতে কলেরা ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কাও করছেন। জাতিসংঘও অনুরূপ আশঙ্কার কথা জানিয়েছে।
সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পাকটিকা প্রদেশের কর্মকর্তা মোহাম্মাদ আমিন হুজাইফা জানান, ভারি বর্ষণ ও বন্যার কারণে উদ্ধার কাজ ব্যাহত হচ্ছে। তাছাড়া মোবাইল ফোনের টাওয়ার ও বিদ্যুৎ সরবরাহের লাইন ধ্বংস হওয়ায় যোগাযোগ ব্যবস্থাও বিচ্ছিন্ন আছে।
ওয়াচকাই গ্রামে জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি এরই মধ্যে দুইজন করে ডাক্তারসহ সাতটি ট্রাক পাঠিয়েছে। এর পাশাপাশি সরকারও কিছু ত্রাণ বিতরণ করছে। সূত্র: এএফপি ও বিবিসি।