আদিগন্ত ছাইয়ে ঢাকা পড়া টোঙ্গা -ছবি: এএফপি
আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত থেকে ঘটা সুনামির পর পরিস্থিতি সম্পর্কে প্রথম হালনাগাদ দিয়েছে টোঙ্গার সরকার। এতে বলা হয়েছে, দেশটিতে আঘাত হেনেছে এক ‘নজিরবিহীন বিপর্যয়’। এক বিবৃতিতে টোঙ্গা সরকার এক ব্রিটিশ নাগরিকসহ তিনজনের মৃত্যুর কথাও নিশ্চিত করেছে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, কয়েকটি ছোট দূরবর্তী দ্বীপের অবস্থা বিশেষভাবে খারাপ।
বিজ্ঞাপন
আগ্নেয়গিরি থেকে ছড়িয়ে পড়া বিপুল পরিমাণ ছাইয়ের কারণে সাহায্য কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। বিমানবন্দরের রানওয়েতে ছাই জমে যাওয়া বিদেশ থেকে ত্রাণ নিয়ে আসা বিমান অবতরণে সমস্যা হচ্ছে।
সাগরতলের আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতে টোঙ্গাকে বাইরের বিশ্বের সঙ্গে যুক্ত করা একমাত্র সাবমেরিন কেবল বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। এতে বাইরে থেকে ক্ষুদ্র দ্বীপদেশটির সঙ্গে যোগাযোগ বিঘ্নিত হচ্ছে।
হালনাগাদে টোঙ্গার সরকার বলেছে, ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন, তবে কিছু স্থানীয় ফোন পরিষেবা চালু ছিল। সম্পূর্ণ যোগাযোগ পুনরুদ্ধার করার জন্য কাজ চলছে।
বিবৃতিতে সরকার আরো জানিয়েছে,
- একজন ৬৫ বছর বয়সী নারী, একজন ৪৯ বছর বয়সী পুরুষ এবং ব্রিটিশ নারী অ্যাঞ্জেলা গ্লোভার সুনামিতে নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া বেশ কয়েকজন আহত হওয়ারও খবর পাওয়া গেছে।
- পানীয় জলের সরবরাহ আগ্নেয়গিরির ছাইয়ের কারণে গুরুতরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
- বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, যোগাযোগ নেটওয়ার্কের এতটাই ক্ষতি হয়েছে যে একজন মাত্র কর্মকর্তা একটি স্যাটেলাইট ফোন ব্যবহার করে জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থা এবং টোঙ্গার সরকারের মধ্যে তথ্য বিনিময় করছেন। সূত্র : বিবিসি।