চীনের জন্মহার গত বছর আশঙ্কাজনকভাবে কম ছিল বলে আজ সোমবার জানিয়েছে দেশটির কর্তৃপক্ষ। বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে বলন, এমন চলতে থাকলে বয়স্ক লোকের সংখ্যা খুব বেড়ে গিয়ে দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি বাধাগ্রস্ত হতে পারে।
বর্তমানে উঠতি অর্থনীতির দেশ চীনে এরই মধ্যে জনবল সংকট দেখা দিয়েছে। কর্মক্ষম লোকদের একটি বড় অংশের বয়স বাড়ছে।
বিজ্ঞাপন
জাতীয় পরিসংখ্যান ব্যুরোর দেওয়া তথ্য অনুসারে, বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহৎ অর্থনীতির দেশ চীনে ১০০০ জনে শিশু জন্মহার ৭.৫২ জন। এটি ২০২০ সালেও ছিল ৮.৫২ জন। ১৯৪৯ সালে চীনে জন্মহার নিরূপণ শুরু হয়। সে সময় থেকে এ পর্যন্ত এটি সবচেয়ে কম শিশু জন্মহার। চীনের বার্ষিক পরিসংখ্যান বইয়ের তথ্য অনুসারেও এবারের জন্মহার খুবই কম। এ অবস্থার উন্নতি করতে ২০১৬ সালে এক সন্তান নীতি শিথিল করে দুই সন্তান নেওয়ার ব্যাপারেও দম্পতিদের উদ্বুদ্ধ করা হয়। কিন্তু প্রত্যাশা অনুসারে শিশু জন্মের হার বাড়েনি। গত বছর চীনা কর্তৃপক্ষ বর্ধিত নীতির অংশ হিসেবে তিন সন্তান গ্রহণের অনুমোদন দেয়। এখন চীনের জনসংখ্যা ১৪১ কোটি।
চীনের অর্থসম্পদ ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠান 'পিনপয়েন্ট'-এর প্রধান অর্থনীতিবিদ ঝিউই ঝাং বলেন, চীনের জন্য জনসংখ্যাসংক্রান্ত বিষয় একটি চ্যালেঞ্জ। বয়স্ক মানুষের সংখ্যা প্রত্যাশার চাইতে দ্রুত হারে বাড়ছে। গত বছরের হিসাবে দেখা গেছে ১৯৬০ সাল থেকে এ পর্যন্ত জনসংখ্যা বৃদ্ধির সবচেয়ে কম হার রেকর্ড করা হয়েছে।
সূত্র : এএফপি।