When General Doctrine Chief Economist tries to lure investors into the Pakistan Investment Promotion Conference in Baku, Azerbaijan with belly dancers.... pic.twitter.com/OUoV85wmnV
— Gul Bukhari (@GulBukhari) September 7, 2019
শুক্রবার । ০৬ ডিসেম্বর ২০১৯। ২১ অগ্রহায়ণ ১৪২৬। ৮ রবিউস সানি ১৪৪১
When General Doctrine Chief Economist tries to lure investors into the Pakistan Investment Promotion Conference in Baku, Azerbaijan with belly dancers.... pic.twitter.com/OUoV85wmnV
— Gul Bukhari (@GulBukhari) September 7, 2019
সম্প্রতি এক বিনিয়োগ সম্মেলনের আয়োজন করে পাকিস্তান। তবে সেটি বিনিয়োগ সম্মেলন, নাকি নাচের অনুষ্ঠান, তা বুঝে উঠতে দ্বিধাদ্বন্দ্বে পড়তে হয়েছে অতিথিদেরও। পরে বোঝা যায়, বিনিয়োগকারীদের আপ্যায়ণের জন্যই এই বন্দোবস্ত করা হয়েছে। সম্মেলনটি আয়োজিত হয়েছিল আজারবাইজানে।
স্টেজের উপর চলছে বেলি ড্যান্স। সে দিকেই একদৃষ্টে তাকিয়ে ছিলেন অতিথিরা। তবে পাকিস্তানের এই অভিনব পদ্ধতির সমালোচনা শুরু হয়েছে বিশ্বজুড়ে। এমনকি খোদ পাকিস্তানের লোকই এর সমালোচনা করছেন।
আজারবাইজানে সম্মেলনটি অনুষ্ঠিত হয়েছিল সারহাদ চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির উদ্যোগে। এর নাম ছিল 'খাইবার পাখতুনখোয়া ইনভেস্টমেন্ট অপরচুনিটিজ কনফারেন্স।' এই বিনিয়োগ সম্মলনেই এই ব্যবস্থা করা হয়। স্টেজের ওপর বেলি ড্যান্স করছিলেন নর্তকীরা। দূর থেকেও যেন তা দেখা যায়, সেজন্য বিশাল বড় স্ক্রিনে সেই নাচ দেখানো হচ্ছিল। সম্মেলন তখন মাথায় উঠেছে, আগত অতিথিরা একদৃষ্টে সে দিকেই তাকিয়ে।
৪ থেকে ৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত হয়েছে এই সম্মেলন। এই নাচের ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ করেছেন গুল বুখারি নামের এক পাকিস্তানি সাংবাদিক। সেখানে তিনি লিখেছেন, যখন আজারবাইজানের বাকুতে বিনিয়োগকারীদের পাকিস্তানে বিনিয়োগ করার জন্য বেলি ড্যান্স দেখিয়ে আকর্ষণ করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
এদিকে, ওই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যাওয়ার পর অনেকেই এর নাম দিয়েছেন 'নয়া পাকিস্তান'। কেউ কেউ লিখছেন, যখন দেশের অর্থনীতি তলানিতে, তখন বিনিয়োগ সম্মেলনে নাচ দেখিয়ে বিনিয়োগ আনার চেষ্টা করা হচ্ছে। কেউ আবার লিখেছেন, পাকিস্তানের কি বিনিয়োগকারীদের উৎসাহিত করার জন্য বেলি ড্যান্স ছাড়া আর কিছু নেই। অনেকে আবার এও বলেছেন, বিনিয়োগের আগেই বিনিয়োগ সম্মেলনে যে খরচ হয়ে গেল, তাতে পাকিস্তানের অর্থনীতি আরও চাপে পড়ে যাবে।
বর্তমানে পাকিস্তানের অর্থনৈতিক অবস্থা তাদের দেশের সবচেয়ে খারাপ সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। চলতি বছর ফিস্কাল ডেফিসিটের পরিমাণ সর্বোচ্চ ( ৮.৯ শতাংশ )। চীন, আরব আমিরাত ও সৌদি আরবের কাছ থেকে ধার নিয়ে চলছে পাকিস্তান।
এই পরিস্থিতিতে এই অর্থনীতি বাঁচানোর জিগির তুলে ক্ষমতায় বসেছেন ইমরান খান। কিন্তু অর্থনীতি বাঁচানো তো দূরের কথা। প্রতিনিয়ত রান্নার গ্যাস থেকে শুরু করে তেলের দাম বেড়েই চলেছে। এই পরিস্থিতিতে কীভাবে দেশের অর্থনীতি বাঁচানো যায়, সে দিকে লক্ষ্য না রেখে নাচ দেখিয়ে বিনিয়োগ আনার চেষ্টা করে সমালোচনার মুখে পাকিস্তান।
সূত্র : জি-নিউজ, দ্য ওয়াল
মন্তব্য