<p>এক বাবাকে বাঁচাতে দুই বছর আগে রোজার মাসেই এক ছেলের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন তামিম ইকবাল। সেই ছেলের বাবা ছিলেন হার্ট অ্যাটাকের রোগী। ভাগ্যের কী নির্মম পরিহাস গতকাল নিজেও হৃদরোগে আক্রান্ত তিনি। </p> <p>হার্টে রিং পরানোর পর বর্তমানে শঙ্কামুক্ত তামিম। মৃত্যুর দুয়ার থেকে ফিরে আসায় আল্লাহ তাআলার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন তিনি। সেই সঙ্গে তার অসুস্থতার সময় যাদের পাশে পেয়েছেন তাদের প্রতি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেছেন। জানিয়েছেন, আপনাদের ভালোবাসা ছাড়া আমি তামিম ইকবাল কিছুই না। এমন করেই যেন একজন মানুষ আরেকজনের পাশে দাঁড়ায় সেই অনুরোধও সবার প্রতি করেছেন বাংলাদেশের সাবেক বাঁহাতি ওপেনার।</p> <p><iframe allow="autoplay; clipboard-write; encrypted-media; picture-in-picture; web-share" allowfullscreen="true" frameborder="0" height="712" sandbox="allow-scripts allow-same-origin" scrolling="no" src="https://www.facebook.com/plugins/post.php?href=https%3A%2F%2Fwww.facebook.com%2FTamimOfficial%2Fposts%2F1214277426728611&width=500&show_text=true&height=712&appId" style="border:none;overflow:hidden" width="500"></iframe></p> <p>সুস্থ হওয়ার পর প্রথমবারের মতো সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট দিয়ে এমনটিই জানিয়েছেন তামিম। ফেসবুকে শেয়ার করা বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়কের পোস্টটি হুবহু নিচে তুলে ধরা হলো—</p> <p>‘দুই বছর আগে এই রোজার সময়েই অনুপের কাছে গিয়েছিলাম। সেদিন জানতে পারলাম, অনুপের বাবা ৪ বছরেও হার্টের অপারেশন করতে পারেননি।</p> <p>হৃদয়ের স্পন্দনই আমাদের বাঁচিয়ে রাখে। কিন্তু এই স্পন্দন যে কোনো ঘোষণা না দিয়েই থেমে যেতে পারে—এই কথাটি আমরা বারবার ভুলে যাই। গতকাল দিনটি শুরু করার সময় কি আমি জানতাম, আমার সাথে কী হতে যাচ্ছে?</p> <p>আল্লাহ তাআলার অশেষ রহমত আর সকলের দোয়ায় আমি ফিরে এসেছি। আমার সৌভাগ্য, এই বিপদের সময়ে আমি পাশে কিছু অসাধারণ মানুষকে পেয়েছিলাম, যাদের বিচক্ষণতা ও আপ্রাণ প্রচেষ্টায় আমি এই সংকট কাটিয়ে ফিরে এসেছি।</p> <p>কিছু ঘটনা আমাদের বাস্তবতা মনে করিয়ে দেয়, জানিয়ে দেয় যে জীবন আসলে কতটা ছোট। আর এই ছোট জীবনে আর কিছু করতে না পারি, সবাই যেন একে অপরের বিপদে পাশে দাঁড়ায়—এটিই আমার অনুরোধ।</p> <p>আপনাদের সবাইকে জানাই আন্তরিক কৃতজ্ঞতা ও ভালোবাসা। সবাই আমার জন্য এবং আমার পরিবারের জন্য দোয়া করবেন। আপনাদের ভালোবাসা ছাড়া আমি তামিম ইকবাল কিছুই না।’</p>