<p>আজও সেই পুরোনো রোগে ভুগেছে বাংলাদেশ। গোয়ালিয়রতে আরেকটি ব্যাটিং ব্যর্থতার ইনিংস শেষ করেছেন নাজমুল হোসেন শান্তরা। ভারতের বিপক্ষে তিন ম্যাচের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ১২৭ রান করতে পেরেছে বাংলাদেশ।</p> <p>ব্যাটিং ব্যর্থতার শুরুটা করেন লিটন দাস। অথচ, ইনিংসের শুরুতে  দারুণ কিছুর ইঙ্গিত দিয়েছিলেন উইকেটরক্ষক ব্যাটার। মুখোমুখি প্রথম বলেই বাউন্ডারি হাঁকালেও আর্শদ্বীপ সিংয়ের ফিরতি বলে অপরিনামদর্শী এক শট খেললেন। অফ স্ট্যাম্পের অনেক বাইরের বল আড়াআড়ি শট খেলতে গিয়ে নিজের ‘মৃত্যু’ ডেকে আনেন। টপ এজড হয়ে রিংকু সিংয়ের তালুবন্দি হন তিনি।</p> <p>তিনে নেমে হার্দিক পান্ডিয়াকে ছক্কা মারা শান্ত একপ্রান্ত আগলে রাখলেও সতীর্থরা আসা যাওয়ার মধ্যে ছিলেন। ২ বছরেরও বেশি সময় পর খেলতে নামা পারভেজ হোসেন ইমনও সুযোগটা কাজে লাগাতে পারেননি। ২০২২ সালের পর সিনিয়রদের হয়ে খেলার সুযোগ না পেলেও অবশ্য ২০২৩ এশিয়ান গেমসে বাংলাদেশের হয়ে দুটি ম্যাচ খেলেছেন তিনি। সেই দুই ম্যাচ বাদ দিলে আজ প্রথমবারের মতো সিনিয়রদের হয়ে খেলতে নেমে ৮ রানের বেশি করতে পারেননি এই ওপেনার।</p> <p>দলীয় ১৪ রানে ২ উইকেট হারানো বাংলাদেশের হাল ধরেন শান্ত-তাওহিদ হৃদয়। তবে অভিষিক্ত নিতিশ কুমার রেড্ডির ভুল বোঝাবুঝিতে জীবনও ইনিংস বড় করতে পারেনি হৃদয়। বরুণ চক্রবর্তীর বলে ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে ১২ রানে পান্ডিয়ার হাতে ধরা পড়েন হৃদয়। এতে দুজনের দলীয় সর্বোচ্চ ২৬ রানেই জুটিও থেমে যায়। অধিনায়ককে সঙ্গ দিতে এসে দ্রুত ফিরে যান অভিজ্ঞ ব্যাটার মাহমুদ উল্লাহ রিয়াদও।</p> <p>আজকের ম্যাচ দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হওয়া মায়াঙ্ক যাদবের ক্যারিয়ারের প্রথম শিকার হন মাহমুদ উল্লাহ।  ১ রান আউট হন তিনি। ৪৩ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে তখন ম্যাচে ধুঁকতে থাকে বাংলাদেশ। হাল ধরার বিপরীতে ১ ছয়ে ৮ রান করা জাকের আলি অনিকও ফেরেন দ্রুত।</p> <p>অনিকের আউটের পর যেন সময় ফুরিয়ে আসে শান্তরও। ষষ্ঠ ব্যাটার হিসেবে আউট হওয়ার আগে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৭ রান করেন অধিনায়ক। শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশ ১২৭ রানের সংগ্রহ পায় মেহেদী হাসান মিরাজের কল্যাণে। দলীয় সর্বোচ্চ অপরাজিত ৩৫ রান না করলে বাংলাদেশের রান এক শই হতো না।  ভারতের হয়ে ৩ টি করে উইকেট নিয়েছেন আর্শদ্বীপ ও ৩ বছর পর দলে ফেরা স্পিনার বরুণ।</p>