<p style="text-align:justify">উত্থানটা নিজ দেশের ক্লাব স্পোর্টিং সিপিতে হলেও ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর কিংবদন্তি হওয়ার শুরুটা ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডেই হয়েছিল। সাবেক কোচ স্যার অ্যালেক্স ফার্গুসনের অধীনে অবিশ্বাস্য এক সময়ই কাটান রেড ডেভিলসের হয়ে। পরে রিয়াল মাদ্রিদে যোগ দিয়ে জীবন্ত কিংবদন্তি হন ‘সিআর সেভেন’।</p> <p style="text-align:justify">২০০৩ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত ম্যানইউর হয়ে দুর্দান্ত সময় পার করলেও দ্বিতীয় মেয়াদের স্মৃতি নিশ্চিতভাবেই রোনালদোর ভুলে যাওয়ার মতো। জুভেন্টাস থেকে ঘরে ফিরে তিক্ত এক অভিজ্ঞতার সাক্ষী হয়েছিলেন পর্তুগালের অধিনায়ক। মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই ১৮ মাসের মাথায় প্রিয় ক্লাব ছাড়তে হয় তাকে। রোনালদো ঘরে ফেরার সময় আবার রিও ফার্ডিনান্ডকে মেরে ফেলতে চেয়েছিলেন তার স্ত্রী।</p> <p style="text-align:justify">সত্যি সত্যি অবশ্য ফার্ডিনান্ডকে হত্যা করতে চাননি তার দ্বিতীয় স্ত্রী কেট রাইট। রোনালদো গভীর রাতে ফোন করায় বিরক্ত হয়েছিলেন ইংল্যান্ডের সাবেক ডিফেন্ডারের স্ত্রী। সেই গল্প রোনালদোর ইউটিউব চ্যানেলে শুনিয়েছেন ম্যানইউর সাবেক অধিনায়ক। রোনালদোর সাবেক সতীর্থ বলেছেন, ‘ম্যানইউর সঙ্গে চুক্তি করার জন্য যখন যাচ্ছিলে তখন আমরা ফোনে কথা বলছিলাম। যখন সমঝোতার মাধ্যমে ফিরতে চাচ্ছিলে তখন আমার স্ত্রী আমাকে মেরে ফেলতে চেয়েছিল। রাত ১টায় ফোন করে আমাকে বলেছ, রিও কী চলছে, আমরা কি সমাধান করতে পারব?’</p> <p style="text-align:justify">চুক্তির সময় রোনালদো খুশি ছিলেন, কিন্তু শেষটা তিক্ততার হয়েছিল বলে জানান ফার্ডিনান্ড। ৪৫ বছর বয়সী ফার্ডিনান্ড বলেছেন, ‘পরে ইউনাইটেডের সঙ্গে চুক্তি করো। প্রাথমিকভাবে তোমার জন্য বিষয়টা সুন্দর ছিল। কারণ আমি ফোনে তোমার খুশি হওয়াটা বুঝতে পারছিলাম। কিন্তু শেষটা তিক্ততার হলো।’</p> <p style="text-align:justify">দ্বিতীয় মেয়াদের বিদায়ের ঘটনা নিয়ে রোনালদো বলেছেন, ‘আমি ভুল নাকি সঠিক ছিলাম, তা প্রমাণ করার কোনো প্রয়োজন নেই আমার। এটি এখন আমার মাথাব্যথার বিষয় নয়। ঘটনাটি শেষ হয়েছে। তবে সত্যি বলছি, ম্যানচেস্টারের জন্য যা চেয়েছিলাম তা আমারও চাওয়া ছিল- সেরা। তারা যেন সেরা দল গঠন করতে পারে। ক্লাবটিকে ভালোবাসি। আমি এমন লোক নই যে অতীতকে ভুলে যায়।’</p>