<p>পর্তুগাল কোচ রবার্তো মার্টিনেসের এখনো অগাধ আস্থা ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর উপর। ইউরো কাপের প্রথম ম্যাচে চেকিয়ার (চেক প্রজাতন্ত্রের নতুন নাম) বিরুদ্ধে ছিলেন প্রথম একাদশে। কিন্তু সুযোগ তৈরি করলেও কাজে লাগাতে পারেননি তিনি। তবে আজকে তুরস্কের বিরুদ্ধে ম্যাচে কড়া নজরে থাকবেন তিনি।</p> <p>রোনালদো দলের অধিনায়ক এবং চেকিয়ার বিরুদ্ধে আগের ম্যাচে পুরো সময় খেলেছেন। পর্তুগালের বিরুদ্ধে চেকিয়া প্রথমার্ধে জমাট রক্ষণ রেখেছিল। রোনাল্ডোকেও থাকতে হয়েছিল কড়া মার্কিংয়ে। দ্বিতীয়ার্ধে চেকিয়া আক্রমণ করায় পর্তুগাল গোলও খেয়ে যায়। পরে আত্নঘাতি গোলে সমতায় ফেরার পর শেষ সময়ের গোলে ম্যাচ জেতে পর্তুগাল। তবে আগের ম্যাচে জর্জিয়াকে হারানো তুরস্ক খুব বেশি রক্ষণাত্নক খেলে না। তারা আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলেই অভ্যস্ত। ফলে রোনালদোদের সামনে খেলার জায়গা থাকবে অনেক।</p> <p>তবে আক্রমণে তুরস্কও কম নয়। আগের ম্যাচে  গোল করা আর্দা গুলার ক্রমশ আন্তর্জাতিক ফুটবলে নিজেকে চেনাচ্ছেন। এখনও পর্যন্ত প্রতিযোগিতার অন্যতম সেরা গোল এসেছে তার পা থেকেই। রোনালদোর নজির ভেঙে ইউরোর সর্বকনিষ্ঠ গোলদাতা হয়েছেন। সেই রোনালদোর বিরুদ্ধেই শনিবার নামবেন গুলার।<br />  <br /> ম্যাচের আগে পর্তুগালের কোচ মার্টিনেস বলেছেন, “চেকিয়ার বিরুদ্ধে আমরা ভাল খেলেছি। এক গোল খেয়েও যে পিছিয়ে পড়ি না, সেটা প্রমাণ করে দিয়েছি। তুরস্কের বিরুদ্ধেও প্রথম একাদশে থাকুক বা না থাকুক আমাদের সবাইকে তৈরি থাকতে হবে।”</p> <p>তবে পর্তুগিজ স্ট্রাইকার রাফায়েল লিয়াও একটু সতর্ক। তিনি বলেছেন, “আমার ধারণা হাকান কালহানোগ্লু (তুরস্ক অধিনায়ক) একাই ম্যাচে পার্থক্য গড়ে দিতে পারে। আমি ওকে চিনি। একসঙ্গে এসি মিলানে খেলেছি। অসাধারণ স্ট্রাইকার এবং টেকনিকও দারুণ। আলপার ইলমাজও রয়েছে। দ্রুতগতির খেলোয়াড়। তবে আলাদা করে কেউ নয়, ওদের গোটা দলই আমাদের সমস্যায় ফেলতে পারে।”<br />  </p>