<p>কুমিল্লায় গত বছর আবাহনী-মোহামেডান ম্যাচে দর্শকের ঢল নেমেছিল। গতকাল ময়মনসিংহের রফিকউদ্দিন ভূইয়া স্টেডিয়ামে দেখা গেছে নতুন ছবি। এদিন সাদা-কালো সমর্থকের বিপরীতে গ্যালারি রাঙিয়ে রেখেছিল বসুন্ধরা কিংসের সমর্থকরা। সংখ্যায় বরং এগিয়ে ট্রেবলজয়ী সমর্থকরাই।</p> <p>উত্তর গ্যালারি পুরোটাই দখলে ছিল কিংসের লাল জার্সিধারীদের। দক্ষিণ গ্যালারিতে ছিল মূলত মোহামেডানের সমর্থক। কিন্তু সেই মানচিত্রে ছোপ ছোপ কিংস সমর্থকদের দেখা গেছে। কথা হলো আনন্দ মোহন কলেজ থেকে আসা নবি হোসেনের সঙ্গে।</p> <p>ফুটবল বলতে এখন কিংসকেই বোঝেন তিনি, ‘এখন তো সবাই কিংসকেই বেশি চেনে। আমরা আনন্দ মোহন কলেজ থেকে প্রায় এক হাজার শিক্ষার্থী এসেছি। প্রায় সবাই কিংসের সমর্থক। ওরা শুধু ভালো খেলছেই না, কিংস ম্যানেজমেন্ট আমাদের সঙ্গে যোগাযোগও রাখে। এটা এখন অন্য কোনো দল করে না।’</p> <p>কবি নজরুল কলেজ থেকে এসেছেন মোহাম্মদ উজ্জ্বল। কিংসের সাফল্য দেখেই তিনি দলটির প্রতি আকৃষ্ট, ‘কিংসে অসাধারণ সব ফুটবলার খেলেন। তাঁদের খেলা দেখতেই আমরা মাঠে আসি। খুব ভালো লাগছে ময়মনসিংহ শহরে এসে তাঁরা এমন একটা ফাইনাল উপহার দেওয়ায়।’ </p> <p>স্থানীয় ফুটবলার নুরুদ্দিন মানিক, ফাইনাল শেষে তাঁকে খুব ব্যস্ত দেখা যাচ্ছিল কিংসের ফুটবলারদের সঙ্গে সেলফি তোলায়। গায়ে কিংসের চ্যাম্পিয়ন জার্সি চড়িয়ে বলছিলেন, ‘ময়মনসিংহে বসুন্ধরা কিংসের সমর্থকদের আমরা সংগঠিত করছি। আমার সঙ্গেই আজ খেলা দেখতে এসেছে প্রায় তিন শ সমর্থক। সমর্থকদের প্রতি কিংস ম্যানেজমেন্টের ভালোবাসাও আমাদের উৎসাহিত করে।’ মোহামেডান সমর্থকরা এদিন দলবেঁধে এসেছিলেন পুরনো প্রেমের টানে। আর সাফল্যের তাজা স্মৃতি নিয়ে তরুণ প্রজন্ম ঝুঁকছে কিংসের দিকে।</p>