<article> <p>সর্বশেষ অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে বাংলাদেশের যুবাদের হেড কোচ স্টুয়ার্ট ল পরে জাতীয় দলের কোচিং স্টাফে যোগ দিতে আগ্রহী ছিলেন। ব্যাটিং কোচ হওয়ার জন্য আবেদনও করেছিলেন। তবে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) বেছে নেয় ডেভিড হেম্পকে। তাতে অবশ্য আরো বড় পদে চাকরির দুয়ার খুলে গিয়েছিল লয়ের জন্য। অস্ট্রেলিয়ার সাবেক এই ক্রিকেটার যে সব সংস্করণ মিলিয়েই এই প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপ খেলতে যাওয়া যুক্তরাষ্ট্রের হেড কোচ এখন।</p> </article> <article> <p><img alt="দূর বিদেশেও দেশের আমেজ" height="170" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/share/photo/shares/1.Print/2024/05.May/21-05-2024/7800.jpg" width="500" />বহুকাল আগে বাংলাদেশেও একই পদে কাজ করেছেন তিনি। ২০১২ সালে সাকিব আল হাসান-তামিম ইকবাল-মুশফিকুর রহিমরা দেশের মাটিতে দলকে ওয়ানডে এশিয়া কাপের ফাইনালে তুলেছিলেন লয়ের অধীনে। যদিও পরিবারকে সময় দেওয়ার কথা বলে হেড কোচের চাকরি ছেড়ে যাওয়া এই অস্ট্রেলিয়ান পরে আরো দুই দফায় বাংলাদেশে ফেরেন।</p> <p>সুবাদে এই দেশের ক্রিকেট ও ক্রিকেটারদের নিয়ে বেশ ভালোই জানাশোনা তাঁর। সেই জ্ঞান আজ থেকে হিউস্টনের প্রেইরি ভিউ ক্রিকেট কমপ্লেক্সে শুরু হতে যাওয়া তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে নিশ্চিতভাবেই কাজে লাগাতে চাইবেন তিনি।</p> </article> <article> <p>সিরিজের প্রথম ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় রাত ৯টায়। নাগরিক টিভিতে ম্যাচটি সরাসরি সম্প্রচারিত হবে। ম্যাচের আগেই অবশ্য নাজমুল হোসেন শান্তদের সঙ্গে বেশ কয়েকবার সাক্ষাৎ হয়ে গেছে লয়ের। কারণ বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্র দলকে রাখা হয়েছে একই ঠিকানায়, ওয়েস্টিন হিউস্টন মেডিক্যাল সেন্টারে। প্রতিটি সাক্ষাতে উষ্ণতা বিনিময় হলেও ম্যাচে সফরকারীদের দুর্বলতা ধরেই শিষ্যদের দিয়ে খেলাতে চাইবেন ল। জাতীয় দলের হেড কোচের চাকরি ছেড়ে যাওয়ার পর আরো দুই দফায় বাংলাদেশে ফিরেছিলেন তিনি। এর মধ্যে ২০১৬ সালে বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত যুব বিশ্বকাপে ছিলেন দলটির টেকনিক্যাল অ্যাডভাইজার।</p> </article> <p>সেই দলে মেহেদী হাসান মিরাজের ডেপুটি নাজমুলই এখন তিন সংস্করণে বাংলাদেশের অধিনায়ক। গত অক্টোবর-নভেম্বরে ভারতে অনুষ্ঠিত ওয়ানডে বিশ্বকাপে নিয়মিত অধিনায়ক সাকিবের চোটে দুই ম্যাচে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দেওয়া নাজমুল এবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে গেছেন পুরোদস্তুর নেতা হয়েই। যদিও তাঁর দলের সামনে অনেক চ্যালেঞ্জ। একেই তিনি নিজে ছন্দে নেই, স্ট্রাইক রেটের অবস্থাও সুবিধার নয়, তার ওপর দলের অন্যতম সেরা ব্যাটার লিটন কুমার দাসের ফর্মহীনতায় ব্যাটিং উদ্বেগ নিয়েই দেশ ছেড়েছে বাংলাদেশ। তবে ৭ জুন ডালাসে শ্রীলঙ্কা ম্যাচ দিয়ে বিশ্বকাপ অভিযান শুরুর বেশ আগেই যুক্তরাষ্ট্রে গিয়ে কন্ডিশনের সঙ্গে ধাতস্থ হতে চাওয়া দলটির জন্য তিন ম্যাচের সিরিজটি প্রস্তুতির দারুণ সুযোগও।</p> <article> <p>সিরিজটি শুরুও হচ্ছে এমন জায়গায়, মার্কিন মুলুকে যে কমপ্লেক্সটি গড়েই উঠেছে ক্রিকেটের জন্য। বাংলাদেশের সাবেক ক্রিকেটার আফতাব আহমেদের ভাষায়, ‘যুক্তরাষ্ট্রে ক্রিকেট খেলাটা সবচেয়ে বেশি যে অঞ্চলে হয়, তার মধ্যে হিউস্টন অন্যতম। ভারতীয়রাই মূলত সেখানকার উইকেটের রক্ষণাবেক্ষণ করেন। তাই উইকেটের চরিত্রও অনেকটা ভারতীয় উপমহাদেশের মতো স্পিন-সহায়ক। আমাদের ক্রিকেটারদেরও মনে হতে পারে যে তারা দেশের উইকেটেই খেলছে।’ আফতাবের কথা সত্যি হলে বিশ্বকাপের প্রস্তুতি সিরিজ খেলতে দূর বিদেশে গিয়েও দেশের আমেজ পেতে পারেন বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা। এই মাঠে দুই দিন অনুশীলন করায় প্রথম ম্যাচের আগেই ক্রিকেটারদের বুঝতে পারা উচিত যে শোনা কথা সত্যি কি না!</p> </article>