<p>চেন্নাই হোক বা দিল্লি, কলকাতা হোক বা মুম্বাই, আহমেদাবাদ হোক বা লখনউ- মহেন্দ্র সিং ধোনি যখন ব্যাটিংয়ে নামেন, তখন গোটা গ্যালারিতে শুধু একটা নামই উচ্চারণ হয়, 'ধোনি, ধোনি'। ভারতকে ক্রিকেটের সম্ভাব্য সব শিরোপা জিতেছেন এই উইকেটরক্ষক-ব্যাটার। এখন শুধু আইপিএলে খেলেন তিনি। বয়স ৪২ ছাড়িয়েছে, বলা যায় ক্রিকেটীয় অধ্যায়ের খুব জলদি ইতি টেনে দিবেন। তাইতো ধোনিকে নিয়ে সমর্থকদের ভারতের প্রতিটি ভেন্যুতে বাড়তি উন্মাদনা দেখা যায়। সে ধোনির নিজের মাঠ হোক বা প্রতিপক্ষের, তাতে কিইবা আসে-যায়!</p> <p>গতকাল একই দৃশ্য দেখা গেল একনা স্টেডিয়ামে। ধোনি ব্যাট করতে নামার সময় স্টেডিয়ামে শব্দের মাত্রা ছাড়ায় ৯৫ ডেসিবেল। টানা ১০ মিনিট এমন মাত্রায় শব্দ দূষণ হলে যেকোনো মানুষের অস্থায়ীভাবে বধির হয়ে যাওয়ার শঙ্কা থাকে।  ধোনির জনপ্রিয়তা এবং তাকে নিয়ে সমর্থকদের উন্মাদনার প্রমাণ ধরা পড়ে লখনউয়ের উইকেটরক্ষক-ব্যাটার কুইন্টন ডিককের স্ত্রী সাসা ডি ককের ঘড়িতে। বিস্মিত সাসা ধোনির ব্যাট করতে নামার সময়ে তার ঘড়ির স্ক্রিনের ছবি সমাজিক যোহাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করেন। সেখানে দেখা যায়, ধোনি যখন ব্যাট করতে নামেন, তখন শব্দের মাত্রা ছাড়ায় ৯৫ ডেসিবেল।</p> <p>ধোনির এমন জনপ্রিয়তায় বিস্মিত লখনউয়ের হয়ে খেলা ওয়েস্ট ইন্ডিজের উইকেটরক্ষক-ব্যাটার নিকোলাস পুরান, 'প্রতি মৌসুমে একই জিনিস দেখছি। ধোনি ব্যাট করতে নামার সময় গ্যালারির দিকে তাকালে মনে হয় হলুদ সমুদ্রের মাঝে রয়েছি। এটা একটা অসাধারণ দৃশ্য। ভারতে ধোনি জাতীয় নায়কের সম্মান পায়। ব্রায়ান লারার সঙ্গে খেলার সুযোগ হয়নি আমার। আমাদের দেশে সকলে লারার অন্ধ ভক্ত। তবে ধোনির এই জনপ্রিয়তা দেখাও দুর্দান্ত অভিজ্ঞতা। ধোনির মতো ক্রিকেটারের সঙ্গে খেলার সুযোগ পেয়ে আমি গর্বিত। মুহূর্তগুলো ভোলা সম্ভব নয়। আমার সন্তানদের জন্য তো বটেই ভবিষ্যতে নাতি-নাতনিদেরও গল্প শোনাতে পারব।'</p> <p>ধোনিকে নিয়ে উচ্ছ্বসিত লখনউ অধিনায়ক লোকেশ রাহুল বলেন, 'লখনউয়ে খেলা হয়েছে। অথচ গ্যালারি দেখে মনে হচ্ছিল আমরা মিনি চেন্নাইয়ে খেলছি।'</p>