<article> <p>গত কয়েক বছরে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে অনেকটা একচ্ছত্র আধিপত্য আবাহনীর। জাতীয় দলের বেশির ভাগ ক্রিকেটারকে নিয়ে দল গঠন তো আছেই। কাগজে-কলমের শক্তিমত্তার প্রমাণ মাঠের খেলায়ও স্পষ্টভাবে ফুটে ওঠে। গত পাঁচ আসরের চারটিরই শিরোপা গেছে আবাহনীর ঘরে। এবারও ব্যতিক্রমের সম্ভাবনা নেই বললেই চলে।</p> </article> <article> <p> </p> <p> </p> <p><img alt="উইকেট" height="311" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/share/photo/shares/1.Print/2024/04.April/18-04-2024/mk/kk-14-2024-04-19-01a.jpg" width="250" />আবাহনী লিগ পর্ব শেষ করেছে একমাত্র অপরাজিত দল হিসেবে। ১১ ম্যাচের সব কটিই জিতেছে। আরেকটি চ্যাম্পিয়নশিপ খুব বেশি দূরে নেই।</p> <p>বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা সুপার লিগ শুরু করবে ২২ পয়েন্ট নিয়ে। গতকাল আবাহনীর কাছে উড়ে যাওয়া শেখ জামাল ধানমণ্ডি ক্লাব ও শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাবের ঝুলিতে আছে ১৬ পয়েন্ট করে। আর ১৬ পয়েন্টের সুযোগ আছে এক ম্যাচ কম খেলা মোহামেডানের। সুপার লিগে তাই পাঁচ ম্যাচের তিনটিতে জিতলেই শিরোপা নিশ্চিত হবে আবাহনীর।</p> </article> <article> <p>আবাহনীর জন্য ব্যাপারটা দারুণ। দলবদলের দাপট তারা মাঠের খেলায়ও নিয়মিত দেখাতে পারছে। তবে বৃহত্তর দৃষ্টিকোণ থেকে দেখলে দেশের ঘরোয়া ক্রিকেটের সর্বোচ্চ একটি টুর্নামেন্ট ডিপিএলের জন্য এটা কতটা ইতিবাচক, তা নিয়ে প্রশ্ন আছে। প্রতিদ্বন্দ্বিতার কোনো ঝাঁজই নেই লিগে। শেখ জামাল ধানমণ্ডি, প্রাইম ব্যাংক ও মোহামেডানের মতো দলগুলো শিরোপা লড়াই থেকে বরাবরই পিছিয়ে থাকছে। স্বাভাবিকভাবে এখানে আবাহনীর দায় দেওয়ার সুযোগ কম। সেরা হতে কে না চায়! আবাহনীর কোচ খালেদ মাহমুদ সুজনও এই ব্যাপারটাই তুলে ধরতে চাইলেন।</p> </article> <article> <p>একই সঙ্গে অন্য দলগুলো যে পারছে না, সেটাও তাঁর কথায় পরিষ্কার, ‘আবাহনীর কোচ হিসেবে আমি সব সময় চ্যাম্পিয়ন হতে চাইব। সুতরাং অন্যরা কী করবে সেটা তারা ভালো জানে। যেহেতু আমি এই দলের সঙ্গে কাজ করছি, আমি চাই আমার দল সেরা হোক। সবাইকে ছাপিয়ে যাক। কারণ আমি বাংলাদেশের সব সেরা খেলোয়াড়কে দলে নিচ্ছি। কিন্তু হ্যাঁ টুর্নামেন্টের মান বাড়ার জন্য...আপনি প্রাইম ব্যাংক, শেখ জামাল, লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ—এসব দলকে ছোট বলার সুযোগ নেই। মোহামেডানও এবার ভালো দল করেছে। কিন্তু পারফরম্যান্স কেন করছে না, সেটা বলা কঠিন আমার জন্য।’ </p> <p><img alt="উইকেট" height="153" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/share/photo/shares/1.Print/2024/04.April/18-04-2024/mk/kk-14-2024-04-19-01b.jpg" width="450" />অন্যরা কেন পারছে না, সেই ব্যাখ্যাটা পাওয়া যেতে পারে শেখ জামাল কোচ সোহেল ইসলামের এই কথা থেকে, ‘দলগুলোর শক্তি দেখতে হবে আপনাকে। দেখা যাচ্ছে একটা দল অনেক বেশি শক্তিশালী, আরেকটা দলে সেই অর্থে খেলোয়াড়ই নেই। শক্তির পার্থক্যটা অনেক বেশি থেকে যাচ্ছে। এটা একটা বড় ব্যাপার। এবার আমাদের ক্ষেত্রে আরো যেটা হয়েছে, সাকিব আল হাসানকে আমরা সেভাবে পাইনি। মানে পুরো শক্তি নিয়ে মাঠে নামতে পারিনি। আমার মনে হয়, প্রাইম ব্যাংকও একই সমস্যায় পড়েছে। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজের সময় তারা জাতীয় দলের গুরুত্বপূর্ণ কিছু ক্রিকেটারকে পায়নি।’</p> <p>দলগুলোর শক্তির এই অসামঞ্জস্য টুর্নামেন্টের মানকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে বলে মনে করেন সোহেল ইসলাম। তাঁর কথায় উঠে এলো অন্য আশঙ্কার প্রসঙ্গও, ‘দেখুন, দলগুলো টাকা খরচ করে দল বানায়, শক্তির এতটা ফারাক হয়ে গেলে অন্যরা দল গড়তে আর উৎসাহী হবে না। পাঁচ-ছয় বছর আগেও যেটা দেখতাম, দলগুলো মোটামুটি একই শক্তির থাকত। এখনকার ব্যাপারটা খুবই আশঙ্কাজনক। এসব কারণে টুর্নামেন্টের মান ঠিক থাকছে না।’</p> </article>