<p>অনেক নাটকীয়তার পর সাফ অনূর্ধ্ব-১৯ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের যুগ্ম চ্যাম্পিয়ন হিসেবে ঘোষণা করা হয় বাংলাদেশ ও ভারতকে। পুরস্কার বিতরণী মঞ্চে এসে ভারতীয় অধিনায়ক ট্রফি গ্রহণ করলে তা মানতে পারেননি ভারত দলের কোচ শুক্লা দত্ত। তাঁর দাবি, তাদের প্রাপ্য ট্রফি কেড়ে নেওয়া হয়েছে।</p> <p>গতকাল কমলাপুর স্টেডিয়ামে ফাইনালে নির্ধারিত নব্বই মিনিট ১-১ সমতায় থাকার পর ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকারে। সেখানে ১১টি শট সমানে সমান থাকার পর নিয়ম অনুযায়ী ম্যাচ সাডেন ডেথে চলমান থাকার কথা থাকলে ম্যাচ কমিশনার ডি সিলভা জয়সুরিয়া টসের মাধ্যমে চ্যাম্পিয়ন নির্ধারণ করেন। টস জিতে শিরোপা উৎসব করে ভারতের মেয়েরা।</p> <p>কিন্তু বাংলাদেশের ফুটবলাররা ও কোচিং স্টাফ ম্যাচ কমিশনারকে ঘিরে আপত্তি জানাতে থাকেন। এরপর ম্যাচ কমিশনার নিজের 'ভুল' বুঝতে পেরে সিদ্ধান্ত বদল করে ভারতকে সাডেন ডেথে অংশ নিতে বলেন। কিন্তু ভারত তাতে রাজি না হয়ে মাঠ ছেড়ে ড্রেসিংরুমে ফিরে যায়। এরপর প্রায় আড়াই ঘণ্টা আলোচনা শেষে দুই দলকে যৌথভাবে চ্যাম্পিয়ন ঘোষণা করা হয়।</p> <p>আজ দুপুরে ঢাকা ছাড়ার আগে ভারতের কোচ শুক্লা দত্তের কণ্ঠে ছিল হতাশা, 'দেখুন এই সিদ্ধান্ত একেবারেই মেনে নেওয়া যায় না। আমাদের মেয়েরা লড়াই করে ট্রফি পাওয়া সত্ত্বেও তা থেকে তাদের বঞ্চিত করা হয়েছে। এককথায় আমি এটাই বলব যে প্রাপ্য ট্রফি কেড়ে নেওয়া হয়েছে। জয়ী ঘোষণা করার পরও ট্রফি ভাগ করে নিতে হচ্ছে, এটা একেবারেই বরদাস্ত হচ্ছে না। সত্যি বলতে গেলে আমার ট্রফি নিতে যাওয়ার বিন্দুমাত্র ইচ্ছাও ছিল না। শুধু আমাদের মেয়েদের মুখের দিকে তাকিয়ে আমি ট্রফি নিতে যাই। আমরা বাংলাদেশের তুলনায় অনেক ভালো ফুটবল খেলেছি। জয়টা আসলে আমাদেরই হয়েছিল।'</p> <p>টসের সিদ্ধান্ত নিয়ে শুক্লা দত্ত বলেছেন, 'যখন বলা হলো যে টসের মাধ্যমে ফল ঘোষণা করা হবে তখন ওরা একটুও আপত্তি জানায়নি। আমাদের পাশে দাঁড়িয়েই সব কিছু হলো। কিন্তু যেই টস শেষ হয়ে গেল, তখন ওদের সব আইন মনে পড়ল। এবার যদি উল্টোটা হতো। যদি বাংলাদেশ ম্যাচটা জিতত তাহলে ওরা এত নিয়ম মানত না। এ ছাড়া আমাদের কোনো কথাই শুনত না। আর সত্যি বলতে গেলে যদি টসে আমরা হারতাম, তাহলে আমরা বিন্দুমাত্র প্রতিবাদ জানাতাম না। নিয়মে যদি এগুলো লেখা থাকে তাহলে আমরা প্রতিবাদ কেন জানাতে যাব?'</p> <p>কিন্তু এই টস যে ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারণের ছিল, সেটাই জানতেনই না বাংলাদেশের অধিনায়ক আফিদা খন্দকার। তিনি বলেছেন, 'আমাকে ডেকেছে, আমি ভেবেছি টস করার পর আমরা রি-কিক (পুনরায় টাইব্রেকার) নেব, ওরা সেভ দেবে বা এ রকম কিছু। আমাকে বলল, কয়েনের নীল পাশ ওরা, তুমি সবুজ। টস করল, ওদেরটা পড়ল, বাঁশি বাজিয়ে রেফারি ওদের জিতিয়ে দিলেন!'</p>