<p>গত ৬ নভেম্বর নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে মিরপুর টেস্টের প্রথম দিনে বাংলাদেশের প্রথম ব্যাটার হিসেবে ‘অবস্ট্রাক্টিং দ্য ফিল্ড’ আউট হন মুশফিকুর রহিম। সে ঘটনার রেস ধরে মুশফিককে ইঙ্গিত করে 'মিরপুর টেস্টে ফিক্সিংয়ের গন্ধ' এই শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে বেসরকারি টিভি চ্যানেল একাত্তর। এই প্রতিবেদনের কারণে মুশফিকুর রহিমের পারিবারিক, সামাজিক ও ব্যক্তি পর্যায়ে সুনাম ক্ষুণ্ণ হয়েছে বলে একাত্তর টেলিভিশনের হেড অফ নিউজ, ক্রীড়া সম্পাদক ও সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদকের কাছে কিছু বিষয়ে নিষ্পত্তি চেয়ে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে। মুশফিকের আইনজীবি ব্যারিস্টার শিহাব উদ্দিন খান তার হয়ে এই নোটিশ পাঠান। আজ প্রেস বিজ্ঞপ্তি দিয়ে মুশফিকের আইনজীবিই বিষয়টি সংবাদমাধ্যমকে জানান।</p> <p>আইনি নোটিশে চারটি বিষয়ে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে নিষ্পত্তি চাওয়া হয়েছে। (১) অতি সত্ত্বর ইউটিউবসহ অন্যান্য প্লাটফর্ম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে অসত্য ও মনগড়া প্রতিবেদনটি সরিয়ে ফেলতে এবং সরিয়ে ফেলার ব্যবস্থা নিয়ে বলা হয়েছে। (২) ভুল ও অসত্য এবং মানহানিকর তথ্য সম্বলিত প্রতিবেদনের জন্য একাত্তর টেলিভিশনকে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনাসহ তাদের টিভি চ্যানেলে এই সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রচার করতে বলা হয়েছে। (৩) একাত্তর টেলিভিশনকে সংবাদ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে তাদের এই মনগড়া, ভুল প্রতিবেদনের জন্য নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে বলা হয়েছে। (৪) সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদক সাইফুল রূপককে ভবিষ্যতে এমন অসত্য ও মনগড়া প্রতিবেদন না করার বিষয়ে সতর্ক করা হয়েছে মর্মে মুশফিকুর রহিমের নিকট লিখিতভাবে একাত্তর টেলিভিশন কর্তৃপক্ষকে জানাতে বলা হয়েছে। </p> <p>উক্ত প্রতিবেদন সাংবাদিকতার নীতি-আদর্শ মেনে করা হয়নি উল্লেখ করে একাত্তর টেলিভিশনের মত সুপরিচিত চ্যানেলে এমন প্রতিবেদন প্রকাশ অপ্রত্যাশিত বলে নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে। নোটিশে উক্ত প্রতিবেদন দন্ডবিধির ৫০০ ধারায় মানহানির অপরাধ ও সাইবার নিরাপত্তা আইন, ২০২৩ এর ২৫(১) (ক) এবং ২৯ ধারায় সাইবার বুলিংয়ের অপরাধ উল্লেখ করে প্রতিকার না পেলে ফৌজদারি ও ক্ষতিপূরণ আদায়ের দেওয়ানী আদালাতে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হয়েছে।</p>