<p>দ্বিতীয়বারের মতো আইসিসির নিষেধাজ্ঞায় পড়লেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাবেক ব্যাটার মারলন স্যামুয়েলস। এবার ছয় বছরের জন্য নিষিদ্ধ হয়েছেন তিনি। আবুধাবির টি-টেন ক্রিকেট লিগে খেলার সময় দুর্নীতিবিরোধী চারটি ধারা ভঙ্গের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হয়ে এই শাস্তি পেলেন স্যামুয়েলস। যদিও ওই মৌসুমে টুর্নামেন্টের কোনো ম্যাচই খেলেননি তিনি।</p> <p>আজ এক বিবৃতিতে এইচআর এবং ইন্টিগ্রিটি ইউনিটের আইসিসির মহাব্যবস্থাপক অ্যালেক্স মার্শাল বলেছেন, ‘স্যামুয়েলস প্রায় দুই দশক ধরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলেছেন, সেই সময় তিনি অসংখ্য দুর্নীতিবিরোধী সেশনে অংশ নিয়েছিলেন এবং দুর্নীতিবিরোধী কোডের অধীনে তার বাধ্যবাধকতা ঠিক কী তা তিনি জানতেন। এর পরও লঙ্ঘন করে এবার শাস্তির মুখে। যদিও তিনি এখন অবসরে।’</p> <p>২০২১ সালে সংযুক্ত আরব আমিরাত ক্রিকেট বোর্ডের (ইসিবি) পক্ষে তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ গঠন করেছিল আইসিসি। ২০১৯ সালে টি-টেনের দল কর্ণাটক টাস্কার্সে ছিলেন স্যামুয়েলস। </p> <p>আইসিসির দেওয়া তথ্যমতে, সে সময় দুর্নীতিবিরোধী কোডের ২.৪.২, ২.৪.৩, ২.৪.৬ ও ২.৪.৭ নম্বর ধারা ভঙ্গ করেন স্যামুয়েলস। উপহার, অর্থ, আতিথেয়তা বা অন্য সুবিধা নেওয়া এবং এ সকল তথ্য আকসুর কর্মকর্তাকে না জানানোয় বা জানাতে দেরি করায় এসব ধারা ভঙ্গ হয়। তার বিরুদ্ধে ৭৫০ বা এর বেশি ইউএস ডলার নেওয়ার অভিযোগও পাওয়া গেছে। প্রায় একই রকম অভিযোগ আছে বাংলাদেশি অলরাউন্ডার নাসির হোসেনের বিপক্ষেও।</p> <p>স্যামুয়েলসের বিপক্ষে অভিযোগের সবগুলো ধারা প্রমাণিত হওয়ায় শাস্তির মুখে পড়তে হলো তাকে। এবারই প্রথম এমন শাস্তির মুখে পড়তে যাচ্ছেন না এই ক্রিকেটার। প্রায় একই অপরাধে ২০০৮ সালে দুই বছরের জন্য নিষিদ্ধ হয়েছিলেন ডানহাতি এই ব্যাটার। নিষেধাজ্ঞা ১১ নভেম্বর ২০২৩ থেকে।</p>